বিএসএফের গুলিতে নিহত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাসের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
Advertisement
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহত স্বর্ণা দাসের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন জেলা জামায়াতের নেতারা।
কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত দিয়ে মায়ের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যায় স্বর্ণা দাস। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বর্ণা জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে স্থানীয় নিরোধ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল।
Advertisement
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মদন মোহন দাশ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। তারা (বিএসএফ) চাইলে গুলি না করে জেলে নিতে পারতো। তারা সরাসরি গুলি করে একটা মেয়েকে মেরে ফেললো। এটা কতটা যুক্তিযুক্ত?’
আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, নায়েবে আমির আব্দুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ, জুড়ী উপজেলা আমির নাজমুল ইসলাম, উপজেলা নায়েবে আমির আব্দুল হাই হেলাল, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি লুৎফর রহমান আজাদী, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শাখাওয়াত হোসাইন, সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান বলেন, শুধু জুড়ীবাসী নয়, পুরো বাংলাদেশ স্বর্ণা দাসের ঘটনায় মর্মাহত। কেউ যদি অনুপ্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় আইন আছে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে। একজনকে গুলি করে মেরে ফেলবে এটা কোন ধরনের কথা?’ জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী বলেন, ‘স্বর্ণা একজন মেয়ে মানুষ। সে চোরাকারবারি নয়, অসৎ নয়, সন্ত্রাসী নয়। কেন তাকে এভাবে হত্যা করা হবে? সে তার মামার বাড়িতে বেড়াতে যেতে চেয়েছিল। এটা তার অপরাধ?’
ওমর ফারুক নাঈম/এসআর/এমএস
Advertisement