লাইফস্টাইল

খালি পেটে জিরা ভেজানো পানি পানে শরীরে যা ঘটে

অনেকেই দিনের শুরুতে অর্থাৎ খালি পেটে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উপাদান ভিজিয়ে পান করেন স্বাস্থ্য রক্ষায়। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ মসলায় আছে বিভিন্ন ধরনের গুণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো জিরা।

Advertisement

আস্ত জিরা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীরের একাধিক সমস্যা দূর হয়। জিরায় থাকা পুষ্টিকর উপাদান স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সমাধান করে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক জিরা ভেজানো পানি পান করলে শরীরে কী ঘটে-

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে

অ্যাসিডিটির সমস্যা কমানোর ক্ষেত্রে জিরা ভেজানো পানি বেশ উপকারী। এই ঘরোয়া উপাদান খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যায়। তাই যারা অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন, তারা জিরা ভেজানো পানি পানি পান করতে পারেন। উপকার পাবেন নিঃসন্দেহে।

হজমশক্তি বাড়ে

জিরা ভেজানো পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। অর্থাৎ যা আপনি খাবেন তা সহজে হজমও হবে। বদহজমের সমস্যা দেখা দেবে না। জিরা এমন একটি উপকরণ, যা শরীরের ডাইজেসটিভ এনজাইম ক্ষরণে সাহায্য করে।

Advertisement

আরও পড়ুন

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মিলবে নিয়মিত যে সবজি খেলে খোসাসহ আলু খাওয়ার যত উপকার

তাই নিয়মিত সকালবেলায় খালি পেটে জিরা ভেজানো পানি পান করলে আপনার হজমশক্তি সুদৃঢ় হবে। আর হজমশক্তি ভালো থাকলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেটে ব্যথা এসব সমস্যা একেবারেই দেখা দেবে না।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে

এছাড়া জিরা ভেজানো পানি পান করলে ডায়াবেটিসও থাকে নিয়ন্ত্রণে। কারণ জিরায় আছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপকরণ। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা জিরা ভেজানো পানি পান করতে পারেন। তবে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

ওজন কমে

ওজন কমাতেও সাহায্য করে জিরা ভেজানো পানি। জিরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ আমাদের শরীরে মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন হয় ও ক্যালোরি কমে।

Advertisement

আর সর্বোপরি ওজন ঝরতে দেখা যায়। অতএব ওজন কমাতে যারা নিয়মিত হাজারও কসরত করছেন, তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জিরা ভেজানো পানি পান করে দেখতে পারেন।

প্রদাহজনিত সমস্যা কমে

জিরায় আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। যা শরীরে যাবতীয় প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আপনার যদি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কোনো সমস্যা থাকে তাহলেও এই পানীয় পান করতে পারেন। উপকার মিলবে।

সূত্র: হেলথলাইন/ওয়েবএমডি

জেএমএস/এমএস