দেশজুড়ে

বকেয়া বেতন দাবিতে সাবেক এমপি কিরণের কারখানায় বিক্ষোভ

বকেয়া বেতনের দাবিতে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান গ্লোব ডেইরী অ্যান্ড সফট ড্রিংকসের কারখানায় বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।

Advertisement

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেগমগঞ্জের দরবেশপুরে কয়েকশ শ্রমিক কারখানায় তালা দিয়ে চৌমুহনী চৌরাস্তা-মাইজদী সড়ক অবরোধ করেন। এসময় ফোর লেন সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, গ্লোব বিস্কুট অ্যান্ড ফ্যাক্টরি, গ্লোব সফট ড্রিংকস ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের কয়েক হাজার শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বিগত এক বছর ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এতে অসংখ্য পরিবার অর্থসংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মালিকপক্ষকে বারবার বলার পরও তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। অনেক কর্মচারীকে টাকা না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন নামের একজন কর্মচারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বাচ্চা অসুস্থ। আমি পাওনা কিছু টাকার জন্য কর্মকর্তাদের হাতে-পায়ে ধরেছি। তারা কিছুই করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা গাড়ি-বাড়ি নিয়ে ভোগবিলাসে মত্ত থাকলেও নিরীহ কর্মচারীদের জন্য তারা কিছুই করছেন না।’

Advertisement

নাসিমা বেগম নামের এক কর্মী বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহের বন্যায় বাড়িতে পানি উঠে মানবেতর জীবনযাপন করছি। রান্না করতে পারছি না। বাচ্চাদের খেতেও দিতে পারছি না। আমি ত্রাণ চাই না, আমার বকেয়া বেতনগুলো দিয়ে দিতে বলেন। তা নাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’

এ বিষয়ে জানতে গ্লোব ডেইরী অ্যান্ড সফট ড্রিংকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেক এমপি কিরণের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম স্বপনকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়ে তারা সপরিবারে পলাতক।

গ্লোব সফট ড্রিংকসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শ্রমিক প্রতিনিধি, সেনাসদস্য, পুলিশ, গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের পাওয়া পরিশোধের ব্যবস্থা করবো।’

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস