অর্থনীতি

অবশেষে খান ব্রাদার্স নিয়ে তদন্তে বিএসইসি

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের অস্বাভা‌বিক দাম বাড়ার কারণ খুঁজতে অবশেষে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

Advertisement

শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ তদন্ত করে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির সহকারী পরিচালক সৌরভ মল্লিকের সই করা এ সংক্রান্ত এক চিঠি ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকলে গত ২৭ জানুয়ারি ( ‘আলাদিনের চেরাগ খান ব্রাদার্স: ১০ লাখ বিনিয়োগে লাভ ২ কোটি টাকা’ শিরোনামে জাগো নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জাগো নিউজের ওই প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কীভাবে বেড়েছে সে তথ্য তুলে ধরা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন‘আলাদিনের চেরাগ’ খান ব্রাদার্স: ১০ লাখ বিনিয়োগে লাভ ২ কোটি টাকাবিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ

এরপর দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর এখন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ওঠা-নামা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলো বিএসইসি। বিএসইসির এ সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এটা লক্ষ্য করা যায় যে, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে, যা অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে ডিএসইকে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লেনদেন সম্পর্কে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলো। উল্লেখিত কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ এই ধরনের অস্বাভাবিক গতিবিধির পেছনের কারণ (বাজারের কারসাজি, ইনসাইডার ট্রেডিং এবং অন্যান্য বাজারের অপব্যবহারসহ) চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

চিঠি জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতেও চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, তদন্তকালে কোম্পানিটি সন্দেহজনক লেনদেন সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমাল ২০০০ এর আচরণবিধি ৬ ও ৮ এবং বিধি ১১ লঙ্ঘন করলে তা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট এআর/কমপ্লায়েন্স অফিসার/সিইওকে অবগত করতে হবে।

এমএএস/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement