দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দলীয় সভায় হঠাৎ নিজের এই সিদ্ধান্ত জানান তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন। মানুষের রায়ে যদি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলেই কেবল ওই চেয়ারে আবার বসবেন।
Advertisement
আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছয়মাস জেলে ছিলেন কেজরিওয়াল। দু’দিন আগেই ছাড়া পেয়েছেন। তারপর রোববার প্রথমবার দলীয় কার্যালয়ে যান তিনি। কথা বলেন দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। সেখানেই হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন>>
সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি/ জামিন পেলেন কেজরিওয়াল যে অভিযোগে গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৫০ দিন পর মুক্ত কেজরিওয়াল, ‘একনায়কতন্ত্র’ ঠেকানোর আহ্বানকেন এমন সিদ্ধান্ত? কেজরিওয়াল জানান, আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জামিন পেলেও এই মামলা চলবে। তাই তিনি জনতার আদালতে নিজেকে প্রমাণ করতে চান। জনতা তাকে কী মনে করেন, তা জেনে নিতে চান।
Advertisement
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আইনি আদালত থেকে বিচার পেয়েছি। এবার জনতার আদালত থেকে বিচার পেতে চাই। দিল্লির মানুষের কাছে আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, কেজরিওয়াল দোষী নাকি নির্দোষ? আমি যদি কাজ করে থাকি, তাহলে আমাকে ভোট দিবেন।
আর কয়েক মাস পরেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে হবে এই নির্বাচন। ততদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব কে পালন করবেন?
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আগামী দু’দিনের মধ্যে এএপি বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, ভারতীয় রাজধানীর নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এরপর থেকেই জামিন পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন, তবে তা খারিজ করে দেন আদালত। তারপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জামিন পান এএপি প্রধান।
Advertisement
তবে শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিরোধী শিবির অর্থাৎ বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বেআইনিভাবে জেলে ঢোকানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তার দল আম আদমি পার্টি।
সূত্র: এনডিটিভি, দ্য ওয়ালকেএএ/