একজন নারী যখন তার বাবার বাড়িতে থাকে তখন বেশ আয়েশেই জীবন কাটান। কিন্তু বিয়ের পর সংসারের সব দায়িত্ব তার উপর। স্বামী, সন্তানের দেখাশোনা, সংসার গুছিয়ে রাখা সব কিছুর দায়িত্ব স্ত্রীর উপর। এমনকি স্বামী বাইরে কাজ করলেও ঘর নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকেন। কারণ তিনি স্ত্রীর উপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারছেন।
Advertisement
অনেক স্বামী আছেন স্ত্রীর এই অবদান স্বীকার করেন, আবার অনেকে মুখ ফুটে না বললেও মনে মনে ঠিকই তাকে ধন্যবাদ দেন। তবে বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে বলতে না পারলেও আজ বলুন। আজ মন ভরে, ইচ্ছা মতো স্ত্রীর প্রশংসা করুন। অনেক পুরুষ আছেন প্রতিনিয়তই স্ত্রীর প্রশংসা করেন।
তবে যারা করেন বা, করতে কিছুটা লজ্জা পান। আজ করতে পারেন। স্ত্রীর জন্য কোনো উপহার কিংবা ফুল কিনতে পারেন। তার পছন্দের খাবার খাওয়াতে পারেন। স্ত্রীর পছন্দের কোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন। এতে আপনার স্ত্রী যেমন খুশি হবে তেমনি আপনিও তার প্রশংসা করতে পেরে স্বস্তি পাবেন।
আরও পড়ুন
Advertisement
আজ ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি ঘটা করে পালন করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে এই দিবস প্রথম পালন করা শুরু হয়। দিনটিতে কোনো সরকারি ছুটি না থাকলে দম্পতিদের জন্য বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রোববার পালিত হয় এই দিবস। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা দেখানোর উদ্দেশে এই দিবস পালন করা শুরু হয়।
নারীদের সম্মানে নারী দিবস, মা দিবস পালন করা হয় অনেক আগে থেকেই। কিন্তু স্ত্রীর কাজের মূল্যায়ন এবং সম্মানের জন্য এই দিনটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন সবাই। স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া সামান্য একটু প্রশংসা নারীদের কাছে বহু মূল্যবান। সংসারে সুখ আনতে অবশ্যই পুরুষের উচিত বিভিন্ন কাজে স্ত্রীর প্রশংসা করা। এতে স্ত্রীর মন ভালো থাকবে এবং আপনার প্রতি তার সম্মান ও ভালোবাসা বাড়বে।
আপনি মুখে যদি বলতে একটু লজ্জা পান তাহলে টেক্সটেও জানাতে পারেন। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর প্রশংসা করে একটি পোস্ট লিখতে পারেন। যদিও এটি একটু বাড়তি শো-অফ মনে হতে পারে অনেকের কাছে। কিন্তু এতে আপনার স্ত্রী খুশি হবেন, আর স্ত্রী খুশি থাকার মানে হচ্ছে সংসারে সুখ বজায় থাকা। আজ অফিস থেকে ফেরার পথে স্ত্রীর জন্য নিয়ে যেতে পারেন এক গুচ্ছ গোলাপ, কিংবা বেলি ফুলের মালা। খোঁপায় পরিয়ে দিতে দিতে খানিকটা প্রশংসা করতে পারেন।
আরও পড়ুন
Advertisement
কেএসকে/এমএস