লাইফস্টাইল

রাতে ঘুম ঠিকমতো হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে

রাতে ঘুম ভালো না হলে সারাদিন ক্লান্তিভাব জড়িয়ে থাকে শরীরে। আজকাল অনেকেই ৮-৯ ঘণ্টা বিছানায় শুয়ে কাটান, তবুও তাদের ঘুম ঠিকঠাক হয় না। ফলে শরীরে একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়। তবে ঘুম ঠিকঠাক হচ্ছে কি না তা বোঝা সম্ভব কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

Advertisement

১. ঘুম থেকে ওঠার পরও ঘুম ঘুম ভাব২. দুর্বলতা৩. কাজে মন না বসা৪. কাজে ভুল হওয়া৫. ছোট ছোট বিষয় ভুলে যাওয়া৬. নতুন কিছু শিখতে সমস্যা হওয়া ইত্যাদি।

অনিদ্রা থেকে কী কী সমস্যা হতে পারে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ঘুম না হলে ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। ফলে বিপদে পড়ে হার্ট। শুধু তাই নয়, এ কারণে হৃৎপিণ্ডের ছন্দপতনও ঘটে। অন্যদিকে ঘুম না হওয়ার সরাসরি প্রভাব পড়ে স্নায়ুর উপর।

এক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি যখন কখন হতে পারে স্ট্রোক। তাই চেষ্টা করুন ঠিকঠাক ঘুমানোর।

Advertisement

আরও পড়ুন

নারীদের পেট ও কোমরে কেন বেশি মেদ জমে? হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কী হয়? দিনে কতক্ষণ ঘুমাবেন?

বয়স অনুযায়ী ঘুমের চাহিদা বাড়ে ও কমে। যেমন বাচ্চাদের অনেকটা বেশি সময় ঘুমাতে হয়। তাহলেই তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। এর পর বয়স যত বাড়তে থাকে, ঘুমের সময়ও ঠিক ততটাই কমে।

এক্ষেত্রে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মোটামুটি ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে এ সময় শুধু চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলে চলবে না, ঠিকঠাক নিদ্রা যেতে হবে। তাহলেই শরীর থাকবে সুস্থ-সবল। সব কাজে মিলবে সাফল্য।

ঠিকঠাক ঘুমাতে চাইলে কী করবেন?

১. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় মেনে ঘুমাতে যান। আর ঠিক ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবর উঠে পড়ুন। তাহলে ঘুমের সঠিক রুটিন তৈরি হবে।২. ছুটির দিন একটু বেশিই ঘুমাতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। এই ভুল করলেও কিন্তু ঘুমের রুটিন বদলে যাবে।৩. রাতে যতটা সম্ভব কম চা-কফি পান করুন। কারণ চায়ে আছে ট্যানিন আর কফিতে আছে ক্যাফেইন। আর এই দুই উপাদান ঘুম আসতে দেয় না।৪. নিরিবিলি ঘরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।৫. ঘুমের ঘণ্টাখানেক আগে মোবাইল, ল্যাপটপ ও টিভির থেকে দূরত্ব বাড়ান।৬. ঘুমানোর আগে চাইলে বই পড়তে পারেন।৭. বিছানায় ২০ মিনিট শোয়ার পরও ঘুম না হলে উঠে পড়ুন। তারপর ঘুম ঘুম ভাব হলেই ঘুমাতে যান।৮. ঘুম আসছে না বলে বেশি টেনশন করবেন না, এতে সমস্যা আরও বাড়বে।

Advertisement

সূত্র: জামাইকা হসপিটাল মেডিকেল সেন্টার

জেএমএস/এমএস