সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের না হলেও কুয়াকাটায় বেড়েছে পর্যটকের আনাগোনা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতে অনেক পর্যটককে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
Advertisement
শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় সৈকত পর্যটকে মুখর থাকলেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি পাল্টে দেয় ভারী বর্ষণ। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে বেশিরভাগ পর্যটক হোটেল থেকে বের হতে পারেনি। অনেকে বৃষ্টি উপভোগ করার জন্য সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
অনেক পর্যটককে সৈকতে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে। বালিয়াড়িতে বসে আড্ডা দেওয়া, বৃষ্টিতে ভেজাসহ নানাভাবে উদযাপন করছেন কুয়াকাটা ভ্রমণ। তবে সমুদ্র বন্দর এলাকায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটকদের সাবধান করতে দেখা যায়।
যশোর থেকে আসা মো. আব্দুল কাওসার নামের এক পর্যটক জানান, দুদিন আগে কুয়াকাটায় এসেছি। আজ চলে যাওয়ার কথা কিন্তু বৃষ্টির কারণে বের হতে পারছি না। বৃষ্টি ও উত্তল ঢেউ উপভোগ করতে এসেছি।
Advertisement
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা মো. রাব্বি ফায়সাল জানান, সকালে কুয়াকাটায় এসেছি। তবে এসে বৃষ্টির কবলে পড়েছি। ছোট বাচ্চা, নারীদের নিয়ে বের হওয়া সম্ভব নয়। তাই একা বের হয়েছি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬০-৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এতে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন নিচু স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান জানান, নিম্নচাপ আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ মো. হাবিব জানান, সমুদ্র উত্তাল। সমুদ্রের তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় পর্যটকদের সতর্ক করছি।
Advertisement
আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/জেআইএম