জাতীয়

‘পুলিশকে সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করেছিলেন হাসিনা’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশকে সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।

Advertisement

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘জুলাই ও আগস্ট মাসের বিপ্লবে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং বিপ্লবোত্তর ভূমিকা’ বিষয়ক সেমিনারে তারা এ দাবি করেন।

লে. কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ানের পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. শহীদুজ্জামান, ডা. জাহেদ উর রহমান। সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নাসিমুল গনি, লে. কর্নেল (অব.) মোশাররফ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনীর বর্তমান এবং সাবেক সদস্যরা প্রস্তুত। এ সময় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সম্মুখভাগে এবং অন্তরালে সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার, জেসিও এবং সৈনিকদের অবদান তুলে ধরেন তারা।

Advertisement

বক্তারা আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এছাড়া বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য এখনো নিষ্ক্রিয়। এ অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে বিগত সরকারের অপরাধীরা। দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় দেশের অবসরপ্রাপ্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার সেনা অফিসার ও সেনা সদস্যদের সম্পৃক্ত কারার আহ্বান জানান তারা।

বিশেষ করে দেশের থানাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানান বক্তারা। এছাড়া দেশের অনেক খাত আছে যেখানে দেশের প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মত দেন তারা।

শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গি কায়দায় দেশে স্বৈরশাসন ও নির্বাচন পরিচালনা করেছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. শহীদুজ্জামান।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের ও বিনির্মাণে জাতীয় সংহতি উন্নয়ন এবং লেজুরভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডা. জাহেদ উর রহমান।

Advertisement

টিটি/ইএ/জেআইএম