জাতীয়

গুলিতে মাদরাসা শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় সাবেক ওসি রিমান্ডে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশের নির্বিচার গুলিতে চার মাদরাসা শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাটহাজারী থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Advertisement

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন এ আদেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে কর্মস্থল থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

রফিকুল ইসলাম সর্বশেষ ঢাকার উত্তরায় এপিবিএন সদর দপ্তরে সহকারী পুলিশ সুপারের দায়িত্বে ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে হওয়া একটি খুনের মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হাটহাজারী থানা পুলিশ সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মাদরাসা শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (২৪) নিহত হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত ২৩ আগস্ট রবিউলের বাবা আব্দুল জব্বার হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন> মোদিবিরোধী সমাবেশে সংঘর্ষ : ৭ পুলিশসহ আহত ১৭, আটক ৩৩

মামলায় তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, জেলার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় আসার প্রতিবাদে হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসা থেকে মিছিল বের করেছিলেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এসময় সাবেক ওসি রফিকুল নিজেই রবিউলকে গুলি করে হত্যা করেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়। ##

এএজেড/এসআইটি/এএসএম

Advertisement