জাতীয়

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, সারাদেশে ভারী বৃষ্টির আভাস

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সারাদেশে ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

Advertisement

সংস্থাটি জানিয়েছে, এটি মৌসুমি নিম্নচাপ। এর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি ঝরবে। বিশেষ করে উপকূল অঞ্চলে বজ্র ও ঝোড়ো হাওয়াসহ অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অফিস বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হয়ে আজ সকাল ৯ টায় (১৪ সেপ্টেম্বর) একই এলাকায় গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর (পুন:) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Advertisement

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

পানিবন্দি কক্সবাজার, আটকা পড়েছেন হাজারো পর্যটক বাড়ছে নদীর পানি, প্লাবিত হতে পারে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির আভাস

এদিকে, টানা ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সৈকত এলাকার হোটেল-রিসোর্ট, কটেজ জোনে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। এছাড়া সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল পতাকা উড়িয়ে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়ক, সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এতে কয়েকশো দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষেরা। সব মিলিয়ে জনজীবনে নেমেছে স্থবিরতা।

আরএএস/এসএনআর/এমএস

Advertisement