জাতীয়

স্পিক বাংলাদেশ ইয়ুথের আত্মপ্রকাশ

দেশের সব জনগণের জন্য সমান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে ‘স্পিক বাংলাদেশ ইয়ুথ’ নামে একটি সিভিল সোসাইটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। মূলত সংগঠনটি সরকার এবং রাজনৈতিক দলসমূহের ওপর প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে এবং জনগণ ও রাষ্ট্রের দেনা-পাওনার সম্পর্কে সেতুবন্ধের ব্যবস্থা করবে।

এই সংবাদ সম্মেলনে স্পিক বাংলাদেশ ইয়ুথের ৪২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিও ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে তাজরিয়ান আলম আয়াজ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) আহ্বায়ক ও ফারদীন হাসানকে (নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি) সদস্য সচিব করা হয়েছে।

বাকি সদস্যরা হলেন, সাখাওয়াত জাকারিয়া (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), নাহিদা আফরোজ লুবা (বুয়েট), আল মাশনুন (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), সাদিকুর রহমান খান (বশেমুরকৃবি, গাজীপুর), আলিফ নুর আনান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), জারিন তাসনিম সমৃদ্ধি (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি), বুশরা রহমান (ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ), মুয়াজ আব্দুল্লাহ (ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ), আলী সিদ্দিকী অভি (ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি), শাহরিয়ার হোসেন (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস), শেখ ফাহিম ফয়সাল (তিতুমীর কলেজ), নুর আহসান মৃদুল (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), সৈয়দ মুয়াজ (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), আসিবুল ইসলাম আসিফ (কুয়েট), আব্দুল্লাহ আল রাফি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), আদনান আহসান হাবিব মুহিত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), জেসমিন জুওয়াইরিয়া (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়), সারোয়ার হোসেন সামি (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলস), সাফতী উবাইদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), নাফিসা বিনতে ইলিয়াস (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি), আব্দুল্লাহ আল জাওয়াদ খান (ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), জান্নাতুল ফিরদাউস প্রমি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), শাওলী ইসলাম (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), আবু বকর সাঈম (ঢাকা কলেজ), ওয়াসিত জাওয়াদ ইশমাম (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি) ওয়াসি পারভেজ তাসিন (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি), মনোয়ার হোসেন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), আসিফ রহমান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), জায়েফ হাসান (হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), আকিদুল ইসলাম (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), আহমাদ জাইম খান (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ), মাহির ইবনে ওমর (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা), সাদমান সাকিব আদিব (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা), রিফাত রায়হান (জাবি), তাহমিদ মবীন রাতুল (ঢাবি), মোহাম্মদ মারুফ আহমেদ (বুটেক্স), তানজিম আহমদ (চাবি), আবিব হাসান (হামদার্দ পাবলিক কলেজ, ঢাকা), তাহমিনুর রহমান (সবুজবাগ সরকারি কলেজ), কাশফি খন্দকার (মাইলস্টোন কলেজ)।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক তাজরিয়ান আলম আয়াজ বলেন, একটা দল ব্যাপক ম্যান্ডেট নিয়ে গদিতে বসলেও দুই বছর পর যদি তারা একটা জনবিরোধী কাজ করে ফেলে তখন সেটা আটকানোর রাস্তা থাকে না। ফলে জনগণের ভয়েস সরকারের কাছে পৌঁছানোর একটাই উপায়, লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজপথে নেমে পড়ো। আমাদের প্রিয় স্লোগান হচ্ছে, লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই। অথচ রাষ্ট্র এটা বোঝে না যে লড়াই করে রক্ত ঝরানোটা সর্বশেষ পন্থা নয়, আজকের প্রজন্ম রক্তের আগে ঘাম এবং শ্রম দিয়ে ভাগ্য বদলাতে চায়। আর এই যে একটা বড়সড় গ্যাপ এটা ব্রিজ করার দায়িত্ব হচ্ছে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন কিংবা সিভিল সোসাইটির। দুর্ভাগ্যজনক বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি প্রো-পিপল না। গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি যে এই সিভিল সোসাইটির একটা বড় অংশ চাটুকারিতায় ব্যস্ত। যারা নেক নিয়ত নিয়ে এখানে আসেন, তারাও আসলে নিজস্ব বাবল ভেঙে বাইরে তাকাতে পারেন না। দেখা যায় একজন বড় মাপের বুদ্ধিজীবী হয়তো বক্তৃতা করছেন, অথচ তার ভাষার সাথে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সম্পর্ক নাই বললেই চলে।

তাজরিয়ান আলম আয়াজ বলেন, এই সমস্যা সমাধানের চিন্তা থেকেই আমরা ভাবলাম, আমরা এমন একটা নাগরিক সংগঠন বা সিভিল সোসাইটি তৈরির উদ্যোগ নেই। যারা এলিট ইকো চেম্বারে আবদ্ধ থাকবে না বরং জনমানুষের সত্যিকারের প্রতিনিধি হয়ে উঠবে, তাদের ভয়েসকে অ্যামপ্লিফাই করবে, তাদের চাওয়াকে এমপাওয়ার করবে। আইডিয়াটা আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো এবং এটা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করতে বসে গেলাম। তখন আমাদের কাছে আরেকটা জরুরি জিনিস ধরা পড়লো, সেটা হচ্ছে সিভিল সোসাইটিতে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ একেবারেই সীমিত। অথচ বাংলাদেশের তরুণরা গণআন্দোলন থেকে শুরু করে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা সবকিছুতেই কিন্তু নিজেদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন এবং নিশ্চিতভাবেই পূর্ববর্তী প্রজন্মকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পটেনশিয়াল তাদের আছে। ফলে এই অমিত সম্ভাবনাময় তারুণ্যকে দূরে রেখে সিভিল সোসাইটি কোনোভাবেই ফাংশন করতে পারে না।

এমএমএ/এসএনআর/এমএস

Advertisement