অর্থনীতি

সূচক মিশ্র, বেড়েছে লেনদেন

আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে বেশি। এরপরও বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে কমেছে বাছাই করা মূল্যসূচক।

Advertisement

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার চেয়ে দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। একই সঙ্গে এই বাজারটিতে সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে ডিএসইর মতো সিএসইতেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে যায।

কিন্তু দুপুর ১টার পর দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমে, অন্যদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। অবশ্য এই দরপতনের মধ্যেও কিছুটা ব্যতিক্রম থাকে ওষুধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এ খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে।

Advertisement

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে ওষুধ খাতের ২৩টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ৯টির দাম কমেছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১০৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫১ কোটি ৬৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা একমি ল্যাবরেটরিজের ২৪ কোটি ৪৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এনআরবি ব্যাংক।

Advertisement

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোনালী আঁশ, গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ব্র্যাক ব্যাংক, অগ্নি সিস্টেম, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং ইসলামী ব্যাংক।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৯টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

এমএএস/এমকেআর/জিকেএস