ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
Advertisement
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
তিনি বলেন, আছাদুজ্জামান মিয়াকে মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে কয়েকটি মামলা হয়েছে।
Advertisement
আছাদুজ্জামান মিয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের ৩৩তম কমিশনার। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া ১৯৬০ সালের ১৪ আগস্ট ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবনে স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর তিনি ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
আছাদুজ্জামান সুনামগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার এবং চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুরে রেলওয়ে পুলিশ সুপার ছিলেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
কৃষ্ণপদ রায়সহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে মামলার আবেদনবগুড়ায় প্রথম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সিও, নোয়াখালীর পুলিশ প্রশিক্ষণ সেন্টার, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও হাইওয়ে রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে যোগ দেন।
২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে অবসরোত্তর ছুটি বাতিলের শর্তে ১৪ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাস মেয়াদে ডিএমপির কমিশনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে নবগঠিত জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুর্নীতির অভিযোগ২০২৪ সালের জুন মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবারের রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি ও জমির তথ্য পাওয়ার খবর প্রকাশ করে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।
টিটি/এমআইএইচএস