জাতীয়

১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কত দুর্নীতি হয়েছে জানতে কমিটি গঠন

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে প্রকল্পের নামে এ খাতে কী পরিমাণ অর্থ লোপাট হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি গঠন করা এ কমিটির প্রধান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমান। কমিটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এ বিভাগের অধীন সংস্থা কর্তৃক ২০০৯ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত বাস্তবায়িত এবং বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সামগ্রিক মূল্যায়ন করবে।

এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আইসিটি বিভাগের আওতায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনেক প্রকল্প নিয়েছেন। সব প্রকল্পের তথ্য আমরা চেয়েছি। এসব প্রকল্প আমরা খতিয়ে দেখবো, কোথাও সমস্যা ও দুর্নীতি হয়েছে কি না। প্রকল্পের আওতায় পরামর্শকসহ কিছু অপ্রয়োজনীয় খাতও দেখানো হয়েছে, সেগুলোও দেখবো। এক কথায়, প্রকল্পের সব বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবো।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জানায়, গত ১৫ বছরে বাস্তবায়িত এবং বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের সামগ্রিক মূল্যায়ন করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন আমরা ফেরেশতা না, ভুলগুলো ধরিয়ে দেন: সালেহউদ্দিন আহমেদ গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে সভা ১৪ সেপ্টেম্বর, ব্যয় ৫ কোটি টাকা

কমিটিতে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি থেকে একজন প্রতিনিধি, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ থেকে একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে রয়েছেন। দুর্নীতি অনুসন্ধানে প্রয়োজনে টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন প্রতিনিধি নেওয়া হবে। পরবর্তীসময়ে প্রয়োজন হলে অন্য কোনো সংস্থা থেকে আইটি বিশেষজ্ঞ নেওয়া হবে।

সংস্থার চলমান প্রকল্পসমূহের সর্বশেষ হালনাগাদ অগ্রগতি প্রতিবেদন যাচাই করে দেখবে মূল্যায়ন কমিটি। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এর আওতাধীন সংস্থাসমূহ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে চলমান ২১টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, অবশিষ্ট কার্যক্রম এবং ওই কার্যক্রম সম্পাদনের অপরিহার্যতা যাচাই করা হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তৈরি এবং উৎক্ষেপণে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এটি উৎক্ষেপণের সময় বলা হয়েছিল, পরবর্তী সাত বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে খরচের টাকা তুলে আনা সম্ভব হবে। এ ধরনের প্রকল্প খতিয়ে দেখতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এমওএস/কেএসআর/এএসএম

Advertisement