জাতীয়

সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীসহ ৪ এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেনসহ চারজন সংসদ সদস্যের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়া অন্য সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন– ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, একাধিকবার নিজ আসনে হয়েছেন সংসদ সদস্য।

আরও পড়ুন

Advertisement

‘দুদক কখনো ব্যর্থ হয়নি, পাচার অর্থ ফেরাতে চেষ্টা চলছে’ দুদকের ৫৮ পদে রদবদল সাবেক মন্ত্রী মোশাররফকে অব্যাহতির ৬ বছরেও আপিল করেনি দুদক

মোহাম্মদ হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও স্ত্রী এবং পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। এই সংসদ সদস্যের ছেলে আবির হাসান তানিমের নামে কানাডার বেগম পাড়ায় ১৫ লাখ ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলারে বাড়ি কেনা ছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট।

অন্যদিকে নূরুল ইসলাম তালুকদার ও আব্দুল ওদুদের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

অভিযোগ আছে, নুরুল ইসলাম তালুকদার বাকাদাহ খাড়িখনন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ কাজ সম্পন্ন না করে আত্মসাত করেছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও নিজ সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নিজ নামে রৌমারী এলাকায় ১০ শতাংশ জমিসহ দোতলা বাড়ি; রৌমারী কুড়িগ্রামে ৩.২৮ একর জমিতে মার্কেট ও চাতাল রয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংকে ও ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে। তার নামে ৫ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে কুড়িগ্রামে ২৬টি বিদ্যালয় শিশু কল্যাণ ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।

Advertisement

এসএম/এমআরএম/এমএস