সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজিপি এ.কে.এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এবং একাধিক পুলিশ সদস্যসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে।
Advertisement
২০১৫ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা মেরে ৮ যাত্রী হত্যার ঘটনায় এ মামলা হয়। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আবু বকর সিদ্দীকের আদালতে বাসের মালিক আবুল খায়ের মামলাটি করেন। কুমিল্লা কোর্ট ইন্সপেক্টর মুজিবুর রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য বাকি আসামিরা হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুছ ছোবাহান ভূঁইয়া হাছান (৬০), শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার (৫০), কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভি.পি মাহবুল হোসেন (৫২), কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন (৪৫), বাতিসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন (টিপু) জগন্নাথ দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: জানে আলম চেয়ারম্যান (৫৫), আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু (৫০), গুনবতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আহাম্মদ প্রকাশ থোকন (৪৮), সালা উদ্দিন আহমেদ (৫০), এনাম হোসন পাটোয়ারী (৪৫), কাজী জাফর আহাম্মদ, খোরশেদ আলম (৫২), তোফায়েল হোসেন (৫০), তৌফিকুল ইসলাম প্রকাশ সবুজ (৩০), মাহফুজ আলম (৪৮), মাসুম বিল্লাহ (৩৮), ছাদেকুর রহমান (৫২), মেহেদী হাসান (৩৩), নাজমুল আলম রোমান (৫৯), মোরশেদ আলম (৫৬), জাকির হোসেন (৪০), মহসিনুল হাসান প্র: হাসান (৫৭), রাশেদুজ্জামান প্র. রাশেদ (৩৪), মো. মাসুদ (৫০), আব্দুল ওয়াদুদ (৫৫), কাজী মো. শাহাদাৎ হোসেন (৪৩), মো. আশিকুর রহমান (পাগলা আশিক), তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান, পরিদর্শক পরিদর্শক তদন্ত মো. ইব্রাহীম, উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল হক, গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফিরোজ কবির, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা সহকারী উপ-পরিদর্শক কিশোর বড়ুয়া, বরুড়া থানার সহকারী উপপরির্শক মহসিন তালুকদার, শুভপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আলমগীর হোসেন (লুঙ্গি আলম) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সহীদুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, সাইফুর রহমান, নাজমুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার হারাবাং পুলিশ ফাঁড়ির আব্দুর ওহাব, মো. জাফর ইকবাল, কুমিল্লা কোটের সাবেক পিপি মো. মজিবর রহমান।
এর আগে ২০১৫ সালে একই ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
Advertisement
সেময় সময় মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, রুহুল কবির রিজভী ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে হুকুমের আসামি করা হয়। দুটি মামলায় ১১২ জনের নাম উল্লেখসহ ১৪২ জনকে আসামি করা হয়।
এরই মধ্যে এ মামলার আসামি তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন পাটোয়ারী পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
জাহিদ পাটোয়ারী/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement