২০২৩ সালের নভেম্বরে উরুগুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ৯ মাস পর ফের একই স্বাদ পেলো লাতিন আমেরিকার দলটি। এই সময়ের মধ্যে ১২ ম্যাচে অপরাজিত ছিল আলবিসেস্তারা। কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে অপরাজেয় যাত্রা থেমে যায় আর্জেন্টিনার।
Advertisement
এই ম্যাচে মূলত পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল পেনাল্টি। ৬০ মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টিতে গোল করে কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন জেমস রড্রিগেজ। দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্ডি বক্সের ভেতর কলম্বিয়ার দানিয়েল মুনোজকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি পড়ে যান। পরে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
রড্রিগেজের নেওয়া স্পটকিক ফেরাতে পারেননি ‘বাজপাখি’ খ্যাত আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কলম্বিয়া তারকার পায়ের কৌশল বুঝে উঠতে না পেরে তিনি ঝাপ দেন উল্টো দিকে।
ম্যাচ শেষে লাইভ সম্প্রচার করা একটি টেলিভিশনের ক্যামেরায় থাপ্পড় মেরে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটান মার্টিনেজ। খেলা শেষে যখন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষক, তখন টেলিভিশনটি তা সরাসরি সম্প্রচার করছিল। মার্টিনেজের থাপ্পড়ে টেলিভিশনের ক্যামেরা মুখ অন্য দিকে সরে যায়। তার এমন কাণ্ডে শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
Advertisement
এর আগেও বিতর্কিত কাণ্ড করেছিলেন মার্টিনেজ। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে তার গোল্ডেন গ্লাভস জয়ের উদযাপন ভালোভাবে নেননি ফুটলবপ্রেমীরা। এছাড়া প্রায় ম্যাচেই পেনাল্টি রুখে দিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ আছে মার্টিনেজের বিপক্ষে।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। তার ভাষায় ছিল নম্রতা। তিনি কলম্বিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
স্কালোনি বলেমন, ‘যদি আমি কথা বলি, তারা বলবে আমরা হারতে জানি না (এটা ঠিক নয়)। আমি কলম্বিয়াকে অভিনন্দন জানাই। আমাকে যেটা বেশি বিরক্ত করেছিল তা হল পেনাল্টির পরে খুব কমই খেলা হয়েছিল। খেলাটি ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।’
এই ম্যাচে পরিস্থিতি আর্জেন্টিনার অনুকূলে আসেনি বলে উল্লেখ করেন স্কালোনি।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘কখনো কখনো পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে চলে আসে। এইবার তা হয়নি। আমাদের মাথা নিচু করতে হবে এবং খেলা চালিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি, পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা একটি ভালো ম্যাচ খেলেছি। আমরা সব সময়েই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছি এবং এমনকি এই ম্যাচে আমরা জিততেও পারতাম।’
এমএইচ/এমএস