খেলাধুলা

দায়িত্ব নেওয়ার এখনই সময়: লিটন

তিনি দায়িত্বহীন, ম্যাচ ও পরিবেশ-পরিস্থিতি বিচার বিবেচনায় না এনে ইচ্ছামতো মনগড়া শট খেলে আউট হন- এমন অভিযোগ করা যাবে না। তবে মাঝে মধ্যে তার ব্যাটিংয়ে দায়িত্ব সচেতনায় ঘাটতি ও কমতি চোখে পড়ে। এমন কিছু ম্যাচ আছে, যেখানে লিটন দাস সেট হয়ে উচ্চাভিলাসী শট খেলতে গিয়ে অকাতরে উইকেট দিয়ে এসেছেন।

Advertisement

কারো কারো মত, তার যে পরিপাটি সাজানো-গোছানো টেকনিক, শটস খেলার ভালো স্কিল, তাতে পরিসংখ্যানটা আরও সমৃদ্ধ হওয়া উচিৎ ছিল। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে লিটন দাসের নামের পাশে যে ক’টা হাফ সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি আর যত রান- তার সবটাই অনেক বেশি থাকতে পারতো।

থাকেনি তার নিজের ভুলে; পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী দায়িত্ব নিয়ে উইকেটে বেশি সময় ধরে থেকে বড় ইনিংস খেলতে না পারার কারণে। অথচ এবার রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সাথে ২ টেস্টের সিরিজেই প্রমাণ হয়েছে, লিটন দাস দায়িত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টা করলেই উইকেটে বেশি সময় থাকতে পারেন। নিজের ইনিংসগুলোকে আরও দীর্ঘ করতে পারে। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টাইগাররা যখন খাদের কিনারায় (২৬ রানে ৬ উইকেট), ঠিক তখন মেহেদি হাসান মিরাজকে সাথে নিয়ে লিটন দাস দারুণ দায়িত্ব সচেতনার পরিচয় দিয়ে সেঞ্চুরি করে দলকে টেনে তুলেছেন।

সে লড়াকু ও সংগ্রামী শতকটিই আসলে বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখিয়েছে। ওই ইনিংসের পরতে পরতে ছিল দায়িত্ব সচেতনার প্রতিচ্ছবি। একবারের জন্য ঝুকিপূর্ণ ও উচ্চভিলাসী শট খেলার চেষ্টা ছিল না। অহেতুক অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলকে আরও অফসাইডে সরে স্কুপ করে ফাইন লেগে পাঠানো, না হয় রিভার্স সুইপ কিংবা মিডল স্টাম্পের বলকে কব্জির মোচড়ে ফ্লিক করতে যাননি।

Advertisement

যতটা সম্ভব ঠান্ডা মাথায় সোজা ব্যাটে খেলে শুধু হাফভলি, ওভার পিচ আর খাটো লেন্থের আলগা বলগুলোকে সীমানার ওপারে পাঠানোই ছিল লক্ষ্য। আর ভাল বলগুলোকে যতটা সমীহ দেখাতেও ভুল করেননি। আর সে কারণেই দলের বিপদে প্রয়োজনে ব্যাট থেকে ১৩৮ রানের বড় ইনিংস বেরিয়ে এসেছে।

সেই ইনিংস খেলা লিটন দাস মনে করেন, দল তার কাছ থেকে এখন এমন দায়িত্ব সচেতন ব্যাটিংটাই চায়। লিটন দাসের অনুভব, তিনি এখন যথেষ্ঠ পরিণত। অভিজ্ঞ এবং দায়িত্ব নিয়ে খেলার এখনই প্রকৃত সময়। আজ মঙ্গলবার মিডিয়ার সাথে কথা বলতে এসে লিটন পরিষ্কার বলে ফেলেছেন, আমি অলমোস্ট ৯-১০ বছর হয়ে গেছে ক্রিকেট খেলতেছি। ওইটুকু এক্সপেরিয়েন্স তো হয়েছে। এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার। তো এখন যদি দায়িত্ব না নেই, তাহলে আর কবে। আর আমি বলতেছি যে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে, জিনিসটা এই না যে প্রতি ম্যাচে আমাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি মানুষ, মিস্টেক হতেই পারে।’

এআরবি/আইএইচএস

Advertisement