দেশজুড়ে

বিএনপি নেতার দখল থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা উদ্ধার

মাদারীপুরে বিএনপি নেতার দখল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা।

Advertisement

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ডাসার উপজেলা প্রশাসন বাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ন্ত্রণে নেয়। দখল চেষ্টায় কালকিনি উপজেলা (বর্তমানে ডাসার উপজেলা) বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক সোহেল হাওলাদার জড়িত বলে জানা গেছে। তার বাড়ি ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পাথুরিয়ারপাড় এলাকায়।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কাজী বাকাই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা। সেই ভিটা গত ৭ সেপ্টেম্বর দখলে নেয় উপজেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক সোহেল হাওলাদার। কাজীবাকাই ইউনিয়নের ওএমএসের ডিলার হওয়ায় সেখানে তিনি চালের গুদাম করেন। পাশাপাশি লেখকের বাড়ির সামনে জেলা প্রশাসকের সাইনবোর্ডও ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার দুপুরে ডাসার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাসের নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা বাড়িটি দখলে নেয়।

Advertisement

মাদারীপুরের কবি, সাহিত্যিক ও ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, দুই বাংলার জনপ্রিয় প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈত্রিক ভিটা এভাবে দখলের চেষ্টা করবে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের সাহস কেউ না পায়।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই ডাসার উপজেলার কাজী বাকাই ইউনিয়ের ইউপি সদস্য ওয়াসিম হাওলাদার বলেন, আমার ভাই যার নামে দখলের অভিযোগ উঠেছে, সে ওএমএসের ব্যবসা করে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ওএসএমর চাল সেখানে রাখে। লেখকের বাড়ির বারান্দায় ৪/৫ বস্তা চাল রাখা হয়। পরে সেখান থেকে চাল নিয়ে যায়। গতকাল বিকেলে (সোমবার) আমার ভাইয়ের বুকে ব্যাথা অনুভব হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এখানকার ঐতিহ্য। আমার ভাই সোহেল কোনো ভাংচুর করেনি।

ডাসার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, দখলের খবরে দুপুরে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈত্রিক ভিটা দখলমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে লেখকের পুরো পৈত্রিক ভিটা উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এএইচ/এএসএম

Advertisement