দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরে খালে বিলীন শতাধিক বসতঘর

লক্ষ্মীপুরে ওয়াপদা খাল ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আমিন বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

Advertisement

একই সময় সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পিয়ারাপুর ব্রিজ এলাকায়ও ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করে ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি মান্দারী ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে ওয়াপদা খালের ভাঙনে শতাধিক বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মান্দারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) জাকির হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য জিল্লুর রহিম, মোসলেহ উদ্দিন খান, হারুনুর রশিদ খাঁন, আবদুল কাদের, নাজিম উদ্দিন খাঁন, হুমায়ুন কবির খাঁন ও সিরাজ উদ্দিন খাঁন।

তারা জানায়, প্রায় ৫০ বছর আগে ওয়াপদা খাল কাটা হয়। খালের দক্ষিণ পাশে বেড়িবাঁধ, উত্তর পাশে বেশকয়েকটি বাড়ি। কয়েক বছর ধরে খালে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে জমি ভেঙে খাল প্রশস্ত হয়ে গেছে। একশ ফুট প্রস্থের খাল এখন ৫০০ ফুটে দাড়িয়েছে। বর্ষায় বসতবাড়ির বাগান, ফসলি জমি খালে ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বন্যায় খালে তীব্র স্রোত থাকায় ভাঙন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে কোব্বাত খাঁন পাঠান বাড়ির আরও অন্তত ৫০ পরিবার।

Advertisement

বিভিন্ন সময়ে তারা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ভিটেমাটি রক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্লক বসিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলে ভাঙনরোধ সম্ভব বলে জানান তারা।

নাজিম উদ্দিন খান নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, কখন যে ঘরগুলো ভেঙে খালে বিলীন হয়ে যায় সে চিন্তায় আছি। ভয়ে রাতে ঘরে ঘুমাতে পারছি না। বউ বাচ্চা নিয়ে খুব ভয়ে আছি। দিশেহারা হয়ে পড়েছি। গত পরশু রাতে পূর্ব পুরুষের কবরগুলো খালের ভাঙনে তলিয়ে গেছে।

ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, বন্যার পানি কমার পরপর ভাঙন বেড়ে গেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অসংখ্য ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, ওয়াপদা খালের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করেছে। এটা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করতেও বলা হয়েছে।

Advertisement

কাজল কায়েস/আরএইচ/এমএস