দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় সাড়ে ১৮ হাজার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার পাকা-আধাপাকা ও কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ঘর মেরামতে প্রায় ১২৬ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হতে পারে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৮ হাজার ৩৬৫ বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সাড়ে সাত হাজার, রায়পুরে এক হাজার ৩০৮, রামগঞ্জে এক হাজার ৮৮৫, রামগতিতে এক হাজার ২৯২ ও কমলনগরে ছয় হাজার ৩৮০ বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরগুলো মেরামতের জন্য প্রায় ১২৬ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হতে পারে।

এর মধ্যে সদরের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে ৬২ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রায়পুরে দুই কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার, রামগঞ্জে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার, রামগতিতে পাঁচ কোটি ৪৬ লাখ ও কমলনগরে ৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

জানা গেছে, জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় ৫০ ইউনিয়িন ও চারটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা বন্যা কবলিত। এখনো সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ১২টি ইউনিয়নে বিস্তির্ণ এলাকা পানিতে ভাসছে। খালবিলগুলো অবৈধভাবে দখল করে রাখার কারণেই সহজেই পানি নামছে না। এতে ২০-২৫ দিন ধরে বন্যার কবলে রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা। দীর্ঘ মেয়াদী এ বন্যা মানুষের জন্য বিপদজ্জনক হয়ে উঠেছে। পানিতে নিমজ্জিত থাকা কাঁচা-পাকা ও আধাপাকা বসতঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাটির ঘরগুলোর ভিটা কাদায় পরিণত হয়েছে। কাঠ ও টিনের তৈরি বেড়াগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। কাঠে খুঁটিগুলো পঁচে গেছে। জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে অসংখ্য বসতঘর।

এদিকে বন্যার্ত এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী ও দিনমজুর। এ বন্যায় উপার্জন বন্ধ হয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরগুলো মেরামত নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ঘর মেরামতে সরকারিভাবে এখনো কোনো সহায়তা দেওয়া হয়নি। সরকারের উপদেষ্টা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা লক্ষ্মীপুরে এসে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার আশ্বাসসহ নতুন ঘর নির্মাণের কথা জানিয়েছেন। তবে সরকারি সহায়তা না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামত অসম্ভব হয়ে পড়বে।

লক্ষ্মীপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া বলেন, বন্যায় বহু বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তালিকা করেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে।

কাজল কায়েস/এএইচ/জিকেএস

Advertisement