নিরাপত্তা শঙ্কায় উয়েফা নেশনস লিগের হোমম্যাচ নিজেদের দেশে আয়োজন করেনি ইসরায়েল। ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে হাঙ্গেরিকে বেছে নিয়েছিল ইহুদি রাষ্ট্রটি। সেখানে গিয়েও ইতালি সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছে তারা।
Advertisement
ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত চলাকালে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইতালির সমর্থকরা। কালো পোশাকে ৫০ জনের মতো সমর্থক জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় উল্টো হয়ে মাঠের দিকে পিছ করে দাঁড়ান।
কৌশলী এই প্রতিবাদের সময় তাদের গায়ে জড়ানো ছিল একটি পতাকা। পতাকাটিতে লেখা ছিল লিবার্টা (স্বাধীনতা)।
ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত চলাকালে ইতালি সমর্থকদের প্রতিবাদ। ছবি: সংগৃহীত।
Advertisement
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবেনের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ। যে কারণেই হাঙ্গেরির ভূমিকে ইহুদিদের জন্য নিরাপদ মনে করেছিল ইসরায়েল। ইসরায়েলের ভালো সম্পর্কের কারণে এই ম্যাচে ফিলিস্তিনি সমর্থদের স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেননি অরবেন। জননিরাপত্তার অজুহাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা চলাকালীন ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ ইলারিয়া সালিসের বিরুদ্ধেও দুয়োধ্বনি দেন ইতালির কিছু সমর্থক। ডানপন্থি বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত সালিসকে গ্রেফতার করেছিল হাঙ্গেরি। কিন্তু ইতালিতে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো বিচার ছাড়াই তাকে বুদাপেস্টের কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ঘটনাবহুল ম্যাচে ইসরায়েলকে সহজেই হারায় ইতালি। এই ম্যাচে ইতালিয়ানরা জয় পেতে যাচ্ছিল ২-০ ব্যবধানেই। কিন্তু ৯০ মিনিটে ইসরায়েল একটি গোল শোধ করে দেওয়ায় ইতালি জয় পায় ২-১ গোলে।
৩৮ মিনিটে প্রথমবার ইসরায়েলের জাল কাঁপায় ইতালি। গোল করেন ডেভিড ফ্রেতেসি। এরপর ৬২ মিনিটে মইজি কিনের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইতালি। আর ৯০ মিনিটে ইসরায়েলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মোহাম্মদ আবু ফানি।
Advertisement
এমএইচ/জেআইএম