বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সারাদেশে ছত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেসব শহীদ পরিবারগুলো জামায়াতে ইসলামীর পরিবার।তারা রক্ত দিয়ে ঋণী করে রেখে গেলো। সেই ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এই শহীদরা সেদিন স্বার্থক হবে যেদিন তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারবো।
Advertisement
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত কুড়িগ্রামের চারজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুড়িগ্রাম নিউ টাউন হলে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে বিচারপতিদের দিয়ে, আনসারদের দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা ঘাপটি মেরে আছে। এসব পরিষ্কার করে দেশপ্রেমীদের নিয়োগ দিতে হবে।
দেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. ইউনুস সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্র সংস্কারে যৌক্তিক সময় চেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামসহ অন্যান্য দলগুলোও তাতে সমর্থন জানিয়েছে।
Advertisement
মতবিনিময় সভায় জেলা আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রামের সমন্বয়ক মো. মিনারুল হক, ছাত্র শিবিরের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল আবিদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত গোলাম রব্বানীর বাবা সাইদুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলামের বাবা মো. বাচ্চু মিয়া, আবু রায়হানের বাবা মো. আব্দুর রশিদ, নুর আলমের চাচা মমিনুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ৪ জনের পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকা করে অনুদান তুলে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারিসহ অন্যান্য নেতারা। পরে আন্দোলনে নিহতদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।
ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জিকেএস
Advertisement