বগুড়া সদর উপজেলায় ‘ঘাতক’ সন্দেহে লেদো নামে একজন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সদরের গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাতে ঘাতক সন্দেহে গোকুল এলাকায় স্থানীয় লোকজন লেদোকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। লেদোর সঠিক পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত লেদোকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ভর্তির আগেই সেখানে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ লোকজন লেদোকে ফের মারপিট করে। এরপর রাত আনুমানিক ১১টায় লেদো মারা যান বলে মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই রুবেল হোসেন নিশ্চিত করেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজান রাত ৮টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে ৬-৭ জনের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। তখন কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে মিজান ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিজানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। কয়েক মাস আগেও তাকে হত্যার জন্য তার ওপর হামলা করা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তার মৃত্যুর খবর শুনে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যান বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কাজ শুরু করেছেন। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এফএ/জিকেএস
Advertisement