সব ধরনের দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং অবিলম্বে জাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চার কারণে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি হওয়ার কথাও তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির পুনরাবৃত্তি চান না তারা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পালিত মানববন্ধনে এ বক্তব্য রাখেন তিনি।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নকীব আল মাহমুদ অর্ণব বলেন, দীর্ঘ একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা দেশ থেকে স্বৈরাচার হটাতে সক্ষম হই। এই আন্দোলনে সর্বপ্রথম আমরা হামলার শিকার হই ক্যাম্পাসেরই রাজনীতি করা ছাত্রলীগের দ্বারা। আর এই হামলায় মদদদাতা তথাকথিত শিক্ষকরাও ছিলেন স্বৈররাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই রাজনীতি বন্ধের দাবিতে এখনো আন্দোলনে দাঁড়াতে হলে এটা হবে নতুন উপাচার্যের প্রথম ব্যর্থতা।
Advertisement
মানববন্ধনে সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৫ বছরে যা করে দেখাতে পারেনি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা এক মাসে করে দেখিয়েছি। আমরা কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আন্দোলন করিনি। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কিছুই দিতে পারেনি। শিক্ষক রাজনীতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বুকে গুলি উপহার দিয়েছে। তাদের মদদে ছাত্রলীগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা দেখেছি মাদক সিন্ডিকেট, ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম পরিচালনা করেছে এই রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলো। তারা কখনোই ছাত্রদের অধিকারের জন্য, দেশের মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করেনি। এখন আমরা কোনো ধরনের রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন চাই না।
আরেক সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসন থেকে এদেশকে মুক্ত করেছি। আজ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে এসেছেন বা ভবিষ্যতে যারা আসবেন তারা ছাত্রদের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব না দিয়ে যদি নিজেদের গদি বাঁচানোর জন্য দলীয় কোনো নির্দিষ্ট ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে চলেন তার পরিণাম জাহাঙ্গীরনগরে ভালো হবে না। ২৪’র ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগরের যে অবদান সেই অবদানকে সামনে রেখে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোনো রাজনীতি দেখতে চাই না।
সৈকত ইসলাম/এফএ/জিকেএস
Advertisement