অবশেষে ভিসা প্রত্যাশীদের হয়রানি ও ভোগান্তি লাঘবের উদ্যোগ নিচ্ছে ইতালি। ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে টাস্কফোর্স গঠনের কথা জানিয়েছে দূতাবাস।
Advertisement
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ইতালির দূতাবাস।
এর আগে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে সোমবার সকালে বাংলাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঢাকায় অবস্থিত ইতালি দূতাবাস জানিয়েছে, ভিসাপ্রত্যাশীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আবেদনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন বৈঠক করে। বৈঠকে ইতালিতে কাজের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে বিদ্যমান বিলম্বের জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয় দূতাবাস। বৈঠকে প্রক্রিয়াকৃত আবেদনের আউটপুট বাড়ানোর জন্য দূতাবাস অঙ্গীকারের আশ্বাস দিয়েছে এবং একটি ডেডিকেটেড টাস্কফোর্স গঠনসহ রোমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে গ্রহণ করা কিছু উদ্যোগ উপস্থাপন করেছে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
ইতালির ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরতের দাবিতে গুলশানে গণঅবস্থান ইতালিতে সিজনাল ও স্পন্সর ভিসা: বাংলাদেশিদের যা জানা প্রয়োজনদূতাবাস জানিয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে ভিএফএস গ্লোবালের কিংবা তাদের কর্মচারী কারও সম্পৃক্ততা নেই। ঢাকা এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানে ভিএফএস গ্লোবাল ভিসা অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান বা তার সময় সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্তে অংশ না নিয়ে এবং ভিসার আবেদনপত্র ফাইল করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সময়সূচিতে অংশ না নিয়ে ইতালির দূতাবাসের পক্ষে এবং কঠোর নির্দেশের অধীনে কাজ করে। ভিএফএস গ্লোবাল বা এর কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা ছাড়াই আবেদনকারীদের জমা দেওয়া তথ্যের ওপর যথাযথ চেক এবং নিয়ন্ত্রণের পর দূতাবাস দ্বারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়। ভিসা ইস্যু করা রাষ্ট্রের একচেটিয়া ক্ষমতার আওতায় পড়ে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতএব, বাংলাদেশি নাগরিকদের ইতালীয় কাজের ভিসা মুক্তি বা অস্বীকার সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত, সেই সঙ্গে তাদের সময়, পদ্ধতি, নিয়ন্ত্রণ এবং সময়সীমা, ইতালির আইন দ্বারা একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। দূতাবাসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং আপিল প্রযোজ্য ইতালির আইন ও প্রবিধান অনুসারে ইতালিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা যেতে পারে।
আইএইচআর/জেডএইচ/
Advertisement