দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৬১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এটিই এ বছরের একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর। এ নিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৮৫ জনে।
Advertisement
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বছর মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ জনে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৬১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৩১২ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৪ জন, খুলনায় ৬০ জন, ময়মনসিংহে ছয়জন ও বরিশালে ২৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
Advertisement
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৬ হাজার ২৮৫ জন। যাদের ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
১ জানুয়ারি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃত ৯৭ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ।
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে ৮ মাসে মারা গেছেন ৯২ জনপ্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
Advertisement
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
এএএম/ইএ/এমএস