লাইফস্টাইল

শরতে সাজবেন যে রঙের পোশাকে

শরত বাংলার ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু। এ ঋতুর আকাশ সত্যিই চমৎকার, মেঘমুক্ত আকাশে শিমুল তুলোর মতো ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘ। বাংলার ঋতু পরিক্রমায় সবচেয়ে মোহনীয় ঋতু হলো শরত। এ সময় কাশফুল ফোঁটে ডাঙায়, আর খালে-বিলের জলে ভেসে থাকে লাল-সাদা শাপলা ফুল। শরতের স্নিগ্ধতায় নিজেকে সাজাতে অনেকেই এখন ব্যস্ত।

Advertisement

শরতের পোশাক কেমন হবে?

শরতের সাজ-পোশাকে নীল ও সাদা রঙেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রকৃতির সঙ্গে এই রং পুরোপুরি মিলে যায়। বিশেষ করে আকাশের নীল আর কাশফুলের সাদা রং সবার মন ভরিয়ে দেয়। এ সময় বাঙালি নারীদের পছন্দের তালিকায় থাকে নীল-সাদা শাড়ি কিংবা বাহারি পোশাক।

তবে শুধু নীল-সাদাই কেন, শরতে হলুদ, বেগুনি, ধূসর ও হালকা কমলা রঙের পোশাকও বিশেষভাবে নজর কাড়ে। এদেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শরতের থিম নিয়ে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করছে। সেসব পোশাকের মধ্যে কখনো শরত উঠে আসছে শাড়ির আঁচলে এক টুকরো নীল আকাশ হয়ে, কখনো আবার শরতের কাশবনের দৃশ্য ফুটে উঠছে পোশাকে।

এছাড়া নীলাকাশে সাদা মেঘের ভেলাসহ প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ ও রং ধরা দিচ্ছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, কাফতানসহ নানা ধরনের পোশাকে। বর্তমানে হ্যান্ড হ্যান্ড পেইন্ট, স্ক্রিন পেইন্ট ও ব্রাশ পেইন্টের পোশাকের কদর বেড়েছে। আবার ডিজিটাল প্রিন্টের পোশাকও নজর কাড়ছে সবার। শরতের সাজে বেছে নিতে পারেন এমন কোনো পোশাক।

Advertisement

শরতে সাজবেন যেভাবে

শরতের সাজে থাকুক স্নিগ্ধতা। পোশাকের রং বেশি উজ্জ্বল কিংবা গাঢ় হলে সাজুন হালকাভাবে, অন্যদিকে পোশাকের রং হালকা হলে সাজতে পারেন জমকালোভাবে। এটি চোখের কাজল, আইশ্যাডো, লিপস্টিক সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কপালে টিপ দিতে পারেন। এরপর হালকা মেকআপ করে ডার্ক ব্রাউন আইব্রো শ্যাডো দিয়ে আইব্রো শেপ করে নিন।

লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট ভালো করে এঁকে নিন। তারপর ঠোঁটে স্কিন কালার লিপস্টিক দিন। কপালে ছোট-বড় টিপ পরুন চেহারা অনুযায়ী। যেহেতু সাজটা স্নিগ্ধ, তাই জমকালো গয়না না পরাই ভালো। কানে হালকা একটা দুল পরে নিন। তবে সাদা বা সিলভার রঙের দুল বেছে নিতে পারেন।

আর হাতে ভারি ব্রেসলেট পরুন। চাইলে বড় একটি আংটিও পরতে পারেন। শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের গয়না আপনাকে আরো বেশি স্নিগ্ধ করে তুলবে। সামনের দিকে একপাশ সিঁথি করে চুল হালকা পাফ করলে দেখতে দারুন লাগবে। পেছনের চুলগুলো চিকন বেণী করে পেঁচিয়ে খোঁপা করে নিন।

Advertisement

জেএমএস/এএসএম