দেশজুড়ে

বড়াইগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬

নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁন্দাই ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অন্তত ১৪ দোকান এবং ৯টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ও সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাকলে উপজেলার চাঁন্দাই ইউনিয়নের দাসগ্রাম এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৪ সদেস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা বিএনপি।

আহতরা হলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম টিপু (৩৯), বিএনপি কর্মী মামুন হোসেন (২১), সাগর আলী (২০), মশিউর রহমান (২৮), জাহিদ আলী (১৮), মেহেদী হাসান (২৮) ও আওয়ামী লীগ কর্মী শাহিন মালিথা (৬০)।

ইউনিয়ন বিএপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম টিপু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহামনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা।

Advertisement

সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম টিপু বলেন, শনিবার জনি (২৮) নামের এক ছাত্রদলের কর্মীকে মারপিট করেন হাবিবুর রহমান ও তার লোকজন। রোববার সন্ধ্যায় শতাধীক লোকজন নিয়ে এসে দাসগ্রাম বাজারে ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন তারা। এ সময় হাবিবুর রহমানের ভাই সাইদুল ইসলাম ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন। লোকজন পালিয়ে গেলে দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ের ১৪টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপটের ঘটনা ঘটে।

তবে হাবিবুর রহমান বলেন, রবিউল ইসলাম টিপু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহুরুল মালিথা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ সরদার, যুবলীগ নেতা হান্নান সরদার আমার দোকান ভাঙচুর ও যুবদলের কার্যালয় ভাঙচুর-লুটপাট করে। আমার সমর্থকরা গিয়ে তাদের প্রতিহত করেছে। কারা গুলি করেছে বিষয়টি জানা নেই।

এদিকে মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা কেউ এলাকায় নেই। তাদের (বিএনপি) কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, আমাদের ওপর কেন দোষ চাপানো হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ডলি রাণী বলেন, আহতদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Advertisement

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাফিউল আযম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এমএস