জাতীয়

সৌদি আরবে আটকদের মুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে গিয়ে গত ১৬ আগস্ট সৌদি পুলিশের হাতে আটক হন আট প্রবাসী। কারাগারে থাকা এসব প্রবাসীদের মুক্তির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

Advertisement

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন সৌদি কারাগারে আটক থাকা প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের ভাগ্নে নুরুল কবির। এসময় তার সঙ্গে বাকি সাত পরিবারের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এ ঘটনায় সেদিন সৌদি পুলিশের হাতে আটক হয়ে ছাড়া পাওয়া কয়েকজনও উপস্থিত ছিলেন।

নুরুল কবির তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঘটনার দিন মোট ৭২ জনকে আটক করা হয়েছিল। পরে ২৫ জনকে সৌদি পুলিশ আটক দেখায়। এরপর আবারও সেখান থেকে ৮ জনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয় তারা। গত ১৬ আগস্ট থেকে তারা কারাগারে। আমরা তাদের কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কারণ তাদের কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছি না। এমনকি দূতাবাসের সঙ্গেও কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে যাচ্ছে না। ফলে দেশে থাকা পরিবারগুলো দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তাদের সংসার কীভাবে চলবে এই চিন্তায় এখন তারা দিশেহারা।

Advertisement

আরও পড়ুন>>>>সৌদিতে গ্রেফতার প্রবাসীদের মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

নুরুল কবির বলেন, আমরা জানতে পেরেছি তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এতে কেবল পরিবার নয়, দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এসব প্রবাসীরা সেখানে ২০ থেকে ২২ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলে সেখানে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় হাজার কর্মী বেকার হয়ে যাবে। এজন্য বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে অতিদ্রুত সৌদিতে আটকদের মুক্ত করার পদক্ষেপ নেয় সরকার। সেই সঙ্গে তাদের ফেরত না পাঠিয়ে ওই দেশেই যাতে তারা ব্যবসা করার সুযোগ পান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সৌদিতে কোনো অনুষ্ঠান করতে হলে আগাম অনুমতি ও ৫০০ লোকের বেশি জমায়েত হওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে প্রায় কয়েক হাজার লোকের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলেন তারা। ফলে বিষয়টি জানতে পেরে সৌদি পুলিশ সেখান থেকে ৭২ জনকে আটক করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আব্দুল করিম ও জুনায়েদ হোসেন প্রমুখ।

এমওএস/এসআইটি/জেআইএম

Advertisement