ক্যাম্পাস

শাবিপ্রবির ‘অরক্ষিত’ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার শঙ্কা

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনিক ব্যক্তিদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। একইভাবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ ৮৩ জন পদত্যাগ করেন। প্রায় এক মাস ধরে প্রশাসন বিহীন চলছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে ক্যাম্পাস বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। ফলে ক্যাম্পাস বর্তমানে একরকম ‘অরক্ষিত’ অবস্থায় আছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

একদিকে প্রশাসনিক বডি না থাকা অন্যদিকে গত ১৬ আগস্ট নানা অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের তোপের মুখে নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাইফ পদত্যাগ করায় এখন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনিক বডি না থাকায় ক্যাম্পাস বর্তমানে ‘অরক্ষিত’ অবস্থায় আছে। ক্যাম্পাসে এখন বহিরাগতরা সহজে আসা যাওয়া করছে। এদিকে ছেলেদের হলে কোনো শিক্ষার্থী নেই। ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র মেয়েরা আবাসিক হলে থাকছেন। সারাদিন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন হলের ছাত্রীরা। আবার প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি না থাকায় কোনো ইস্যুতে বিচার দাবি কিংবা কোনো সমস্যা সমাধানের করারও সুযোগ নেই তাদের।

ক্যাম্পাসের কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে ক্যাম্পাসে আগের তুলনায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও ক্যাম্পাসে বিচরণ করে। তবে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বিরত রাখার জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে জানান।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, বহিরাগত কাউকে এখন আমরা জোর করে বাধাও দিতে পারি না। যদি বাধা দিতে যাই তাহলে অনেকে মারতে আসে। প্রশাসনিক দায়িত্বে কেউ নাই, আমরা কার কাছে বিচার দিব?

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের শিক্ষার্থী হাবিবা লিনা বলেন, এখন অনেক রাত পর্যন্ত মোটর সাইকেল নিয়ে মেয়েদের হলের দিকে বহিরাগতরা আসা যাওয়া করে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে ছাত্রীরা অনেক শঙ্কায় আছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বরত অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

নাঈম আহমদ শুভ/আরএইচ/জিকেএস

Advertisement