খেলাধুলা

২৩ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দিতে হবে

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইনের ২৩ ধারার (জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব) ‘ক’ তে উল্লেখ আছে প্রত্যেক ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড ও সংস্থাকে তাদের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী ও অডিট প্রতিবেদন পরবর্তী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দাখিল করতে হবে। ‘খ’ তে আছে প্রতি বছরের ক্রীড়াপঞ্জী জানুয়ারির মধ্যেই দাখিল করতে হবে। কিন্তু ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সব নিয়ম-কানুনকে থোড়াই কেয়ার করেছে।

Advertisement

আওয়ামী লীগ সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে এতটাই রাজনীতিকরণ করেছিল যে, কোনো নিয়মের বালাই ছিল না এখানে। প্রকৃত সংগঠকদের দূরে ঠেলে দিয়ে দলীয় অযোগ্য লোকদের ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা মন্ত্রীরা।

যে কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো নির্দেশনাই তারা কানে তোলেনি। বরং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজে পুরো ক্রীড়াঙ্গনের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত ফেডারেশন কর্মকর্তারা।

নিয়ম অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির সভা, বার্ষিক ও দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা, হিসাব-নিকাশের অডিট প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নিয়মগুলো মিলিয়ে গিয়েছিল দুর আকাশে। আহাদ আলী সরকার, বীরেণ শিকদার, জাহিদ আহসান রাসেল ও নাজমুল হাসান পাপনের সময়ে দুর্নীতিতে ছেয়ে যায় ক্রীড়াঙ্গন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে লুটপাটের এক বলয় তৈরি করা হয়েছিল ক্রীড়াঙ্গনে।

Advertisement

অন্তর্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিটি সেক্টরে স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহীতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আনা হচ্ছে সংস্কার। তারই অংশ হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ রোববার এক নির্দেশনা জারী করেছে সব ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড ও সংস্থাকে। যে নির্দেশনায় এই মাসের মধ্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং অডিট প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাটি ৮ সেপ্টেম্বর জারি করায় জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলো ২৩ দিন সময় পাচ্ছে তাদের সব আয়-ব্যয়ের বিবরণী ও অডিট প্রতিবেদন জমা দেওয়ার। অর্থ্যাৎ, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হিসাব জমা দিতে হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে।

আরআই/আইএইচএস

Advertisement