অর্থনীতি

৫ম গ্রেড পর্যন্ত বদলি-পদায়নের ক্ষমতা চায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর

কৃষি কর্মকর্তাদের কার্যক্রম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকেন্দ্রিক হলেও তাদের বদলি কিংবা পদায়ন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। যে কারণে সঠিক মূল্যয়ন না হওয়া ও দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ রয়েছে কৃষি কর্মকর্তাদের। এ কারণে নবম থেকে পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত সব কর্মকর্তার বদলি ও পদায়নের ক্ষমতা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের অন্যান্য অনেক বিভাগে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা পর্যন্ত বদলি পদায়ন হয়ে থাকে নিজ অধিদপ্তর থেকে, যা কৃষির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই গ্রেডে বদলি পদায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এমনকি ষষ্ঠ গ্রেডেরও মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তা ছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও মন্ত্রণালয় বদলি পদায়ন করে আসছে। খামারবাড়ি ও অন্যান্য প্রধান দপ্তরে বদলির ক্ষেত্রে সর্বশেষ গ্রেডও (নবম) মন্ত্রণালয়ের অধীন।

এদিকে, গত ২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে নবম গ্রেড থেকে পঞ্চম গ্রেড পদধারী কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে ন্যস্ত করেছে। এরপর কৃষিতেও একই সুবিধা দেওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি ছিল কৃষি কর্মকর্তাদের।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বদলি-পদায়ন হওয়ার কারণে সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না। দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে। প্রয়োজনের সময় অনেক ক্ষেত্রে কর্মকর্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এটি অধিদপ্তরের হাতে থাকলে কাজে গতি আসবে।

Advertisement

তারা বলেন, কৃষিতে যেসব গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানেও দপ্তর প্রধান বদলি করতে পারেন। মৎস্য, সড়ক, ভূমিসহ অনেক অধিদপ্তরের এ ক্ষমতা রয়েছে। শুধু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্ষেত্রে এ বৈষম্য। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) ড. মলয় চৌধুরী বলেন, এটি একটি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিষয়। সেক্ষেত্রে অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে তুলনা ঠিক হবে না। কৃষি সেক্টর এমন একটি বিষয় যে, কোনো রকম ঝুঁকি নেওয়া যায় না। সবকিছু বুঝেশুনে করতে হয়। তারপরও এ বিষয়ে উপদেষ্ট, সচিব রয়েছেন। তারা প্রয়োজন মনে করলে করতে পারেন। তাতে মন্ত্রণালয়ের চাপ কমবে।

এনএইচ/ইএ/জিকেএস

Advertisement