কয়েকটি কারখানা ছাড়া আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বেশিভাগ প্রতিষ্ঠানেই উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। সকাল থেকে স্ব স্ব কারখানায় যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে ২/৩টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আজও কর্মবিরতি পালন করছেন।
Advertisement
এদিকে পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করতে সন্দেহভাজন আরও চারজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বিশৃঙ্খলা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ডিইপিজেডসহ অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় দল বেঁধে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা।
তবে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে। যদিও কারখানায় হামলা, ভাংচুর কিংবা সড়ক অবরোধের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
এদিকে, শনিবার রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটককৃতরা হলেন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার মোতালেব হোসেন (২৫), জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার সেলিম রেজা (২১), ভোলার চরফ্যাশন থানার মো. রাসেল (২৩) এবং নওগাঁর আত্রাই থানার লিটন কুমার দাস (২৩)। তারা আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। গত কয়েকদিন ধরে নাসা গ্রুপে অসন্তোষ চললেও আজ উৎপাদন চালু হয়েছে। তবে নিউ এইজ ও আল মুসলিম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানায় এসে কাজ যোগ না দেয়ায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ডিইপিজেডসহ অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বাইরের কারখানায় কোথাও তেমন সমস্যা নেই। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাবি দাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ সমাধান করতে পারেনি, সেখানে ঝামেলা হচ্ছে। তবে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। গার্মেন্টস খাতকে অস্থিতিশীল করতে জড়িত সন্দেহে গতকাল চারজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলের যেসব জায়গায় ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা সেসব পয়েন্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মাহফুজুর রহমান নিপু/এএইচ/এমএস
Advertisement