হেনরির বয়স ১২৩ বছর, ১০ হাজার সন্তানের পিতা, সঙ্গিনী ৬ জন। দুটো বিশ্বযুদ্ধ-সহ পৃথিবীর নানা সংকট পেরিয়েও যে রয়ে গিয়েছে এই নীল রঙের গ্রহতে। এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুমির হিসেবে গিনেস বুকে নাম লিখিয়ে ফেলেছে।
Advertisement
১৯০০ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম তার। একটি মিনিবাসের মতোই আকার তার! তার উপর ভয়ানক দাঁতের সারি। এককথায় হেনরি যেন মূর্তিমান ভয়ংকর। দক্ষিণ আফ্রিকার যে বদ্বীপে কুমিরটির জন্ম সেই বোৎসওয়ানার ওকাভাঙ্গো দ্বীপে আতঙ্কের আর এক নাম হয়ে উঠেছিল হেনরি।
শোনা যায়, আশপাশের এলাকার বহু শিশুকে খেয়ে ফেলেছিল হেনরি। তখন অবশ্য তার এই নামকরণ হয়নি। কেননা এর পরই তাকে হত্যার প্রস্তাব পান স্যার হেনরি নিউম্যান। সেটা ১৯০৩ সাল। কিন্তু হেনরি জানান, তিনি কুমিরটিকে মারতে চান না। বরং ওকে আজীবনের জন্য বন্দি করতে চান। সেই থেকেই চিড়িয়াখানায় জীবন কাটিয়েছে কুমিরটি। গত তিন দশক তার ঠিকানা দক্ষিণ আফ্রিকার স্টকবার্গের ক্রোকওয়ার্ল্ড কনজারভেশন সেন্টার।
আরও পড়ুন
Advertisement
হেনরি দেখতে একটি মিনি ট্রাকের সমান হবে। তার ওজন ৭০০ কেজি। খুবই হিংস্র এই কুমিরের স্বভাব অন্যান্য কুমিরের চেয়ে আলাদা। এযাবৎ ৬ জন সঙ্গিনীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে হেনরি। সন্তান সন্ততির সংখ্যা হাজার দশেক! তবে সে প্রবীণতম কুমির হলেও সে কিন্তু দীর্ঘতম নয়। সেই কীর্তি গড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এক ১৬ ফুটের কুমির। তাকেই সবচেয়ে দীর্ঘ কুমির মনে করা হয়।
১৯৮৪ সালে ধরা পড়া সেই কুমিরের নাম ছিল ক্যাসিয়াস। চিড়িয়াখানায় বেশ জনপ্রিয় হেনরি। তাকে দেখতে ভিড় জমান বহু দর্শক। কিন্তু কুমিরের থেকে তাদের দূরত্ব যেন যথেষ্ট থাকে সেখেয়াল রেখেছেন চিড়িয়াখানার মালিকরা। হেনরির অতীত যে তাকে খুব সুনাম দেয়নি!
হেনরি মূলত নীল নদের কুমির। সাব-সাহারান আফ্রিকার ২৬টি দেশে পাওয়া এই প্রজাতির কুমির। যারা স্বভাবে অনেক বেশি হিংস্র। প্রতি বছর এই অঞ্চলগুলোতে শত শত মানুষ মারা যায় এই প্রজাতির কুমিরের আক্রমণ।
আরও পড়ুন
Advertisement
সূত্র: এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড
কেএসকে/এমএস