ইউএস ওপেনে গত বছরও ফাইনালে উঠেছিলেন আরিনা সাবালেঙ্কা। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কোকো গাফের কাছে হেরে যান তিনি। ম্যাচ হারের পর রাগে-ক্ষোভে লকার রুমে এসে নিজের হাতের ব্যাট ভেঙেছিলেন সাবালেঙ্কা। চরম হতাশও হয়েছিলেন বেলারুশের এই টেনিস তারকা।
Advertisement
এবারও ফাইনালে উঠলেন সাবালেঙ্কা। সুযোগ আর মিস করলেন না তিনি। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে হারিয়ে দিলেন জেসিকা পেগুলাকে। এই ম্যাচে পেগুলাকে ৭-৫, ৭-৫ ব্যবধানে হারান সাবালেঙ্কা।
জয়ের পর নিজের আবেগ সংবরণ করতে পারেননি সাবালেঙ্কা। কোটেই লুটিয়ে পড়েন ২৬ বছর বয়সী এই তারকা। হাত দিয়ে ঢেকে রাখা চোখ থেকে পানিও ঝরান তিনি।
এটি সাবালেঙ্কার তৃতীয় গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা। এর আগের দুটি গ্র্যান্ডস্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জিতেছিলেন তিনি।
Advertisement
পেগুলাকে হারিয়ে হার্ড কোর্টে আধিপত্য ধরে রাখলেন সাবালেঙ্কা। বড় টুর্নামেন্টে এই নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকলেন তিনি।
গ্র্যান্ডস্লাম জিতে সাবালেঙ্কা বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে নির্বাক। এটা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল এবং আমি শেষ পর্যন্ত সুন্দর এই ট্রফিটি জিততে পেরেছি। আপনি যদি কোনো কিছুর জন্য কঠিন পরিশ্রম করেন এবং সবকিছু উৎসর্গ করে দেন, একদিন সেটা আপনার মিলবেই। আমি নিজেকে নিয়ে দারুণ গর্বিত। আমি কখনো এই কথা বলিনি, তবে আমি সত্যিই নিজেকে নিয়ে দারুণভাবে গর্বিত। আমি আমার দলকে নিয়েও গর্বিত।’
অন্যদিকে এবারই প্রথম কোনো গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে উঠেছিলেন পেগুলা। কিন্তু শিরোপা জেতা হলো না তার। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে শতশত দর্শকের সামনে চরম হতাশ হলেন ৩০ বছর বয়সী মার্কিন টেনিস তারকা।
এমএইচ/এমএস
Advertisement