কুমিল্লায় মা-ছেলে ও ভাতিজিসহ তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হন ওই নারী। আর এই হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় নিহতের ছেলে ও ভাতিজিকেও হত্যা করা হয়।
Advertisement
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরের গাও এলাকা থেকে অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং ভাতিজী তিশা (১৪)।
Advertisement
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন শনিবার দুপুরে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, নিহত মাহমুদার সঙ্গে গ্রেফতার আক্তার হোসেনের দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেম ছিল। এই সুবাদে আক্তারের কাছ থেকে মাহমুদা ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আক্তার তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। এক পর্যায়ে দুজন তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এসময় মাহমুদার মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন প্রেমিক আক্তার।
এ ঘটনা দেখে ফেলায় মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং ভাতিজী তিশাকেও মাথায় আঘাত করে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান আক্তার। পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা তাদের লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এরপর শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আক্তারকে শনাক্ত করতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আক্তার।
জাহিদ পাটোয়ারী/জেডএইচ/জেআইএম