শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে দেওয়া চিঠির ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠেয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আপন বিভাগের গত ২৭ আগস্ট ০২.০০.০০০০.০১১.০১.০০৪.২৪.৫৬০ নম্বর স্মারকের আগের বছরের ন্যায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকায় কর্মরত হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগ্মসচিব/সমমর্যাদাসম্পন্ন ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চেয়ে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থায় গত ২৯ আগস্ট ২৪.০০.০০০০.০০০.১১১.১৬.০০০৫.২৪.৭১৪ নম্বর স্মারকে পত্র পাঠানো হয়।
এ পত্রে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সূত্র উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পত্রের সংযুক্তি হিসেবে পাঠানো হলেও পত্রের বিবরণে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠেয় ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে পত্রটির বিষয়ে বেশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
পরে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠেয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে ৪ সেপ্টেম্বর একই তারিখ ও স্মারকে প্রতিস্থাপন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থায় পত্র দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আপন বিভাগে পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থায় পাঠানো পত্রে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠেয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ না করার কারণে সৃষ্ট বিভ্রান্তির জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এরই মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এমএএস/এমএএইচ/এএসএম
Advertisement