ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক ড.অহিদুজ্জামান ও অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান লিটুর অব্যাহতির দাবিতে গত ১১ আগস্ট থেকে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে আজ প্রতিবাদী গান, কবিতা এবং রম্য বিতর্ক করেছেন ইনস্টিটিউটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনের চত্বরে এই আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপরীতে অবস্থান, স্বৈরাচারী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ধর্মীয় পোশাকের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, রাজনৈতিক পেশিশক্তি খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন, শিক্ষক হিসেবে অযোগ্যতা, অনৈতিকতা এবং চাটুকারিতার অভিযোগ আনেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সব প্রকার দুর্নীতি, অনৈতিকতা ও অব্যবস্থাপনা থেকে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে মুক্ত করার জন্য প্রায় এক মাস ধরে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এরইমধ্যে বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
তারা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আয়োজন করেছি ‘মার্চ টু আইইআর’ কর্মসূচি। এতে থাকছে রম্য বিতর্ক, আমরা যেটির শিরোনাম নির্ধারণ করেছি ‘এই সংসদ বিশ্বাস করে, প্রাক্তনরা নয় বরং চলমান ব্যাচের শিক্ষার্থীরাই অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান চান এবং অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান লিটু দ্বারা বেশি নিপীড়িত’। এছাড়াও রয়েছে প্রতিবাদী কবিতা আবৃত্তি এবং প্রতিবাদী গান।
Advertisement
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে তদন্ত চলাকালীন সময় পর্যন্ত অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান চানকে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ এবং দুই অভিযুক্তকেই সব প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হোসনে আরা বেগমকে নতুন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, দুই অধ্যাপককে সব পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে স্থায়ী অব্যাহতির মাধ্যমে নিরাপদ ও স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
এমএইচএ/এসআইটি/এএসএম