বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আব্দুল মোতালিব (১৪) নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার হন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে তিনি নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে আশ্বস্ত করেছেন।
Advertisement
শুক্রবার বিকেল ৪ টা ৪ মিনিটে শাজাহান খানকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি হাসিমুখে কাঠগড়ায় দাঁড়ান। এ সময় তিনি আদালতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে আশ্বস্ত করেন। পরে বিকেল ৪ টা ২৩ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. খোকন মিয়া।
আরও পড়ুন> সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডেএসময় শাজাহান খানের পক্ষের আইনজীবী প্রাণনাথসহ আরও অনেকেই জামিন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, মানবিক দৃষ্টিতে শাহজাহান খানের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চাচ্ছি। তিনি ৮ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা চিৎকার করে বলেন, অনির্বাচিত সরকার। কিছুক্ষন তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা চলে। এরপর শাহজাহান খানের আইনজীবী বলেন, তার হার্টের ৫টা ব্লক ধরা পড়েছে। ৯০ শতাংশ ব্লক রয়েছে। হাটে রিং পড়ানো হয়েছে। এরপর আবারও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা চিৎকার শুরু করলে আদালত শাজাহান খানকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Advertisement
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় ছাত্র জনতার আন্দোলনে যোগ দেন আব্দুল মোতালিব (১৪)। পরে তিনি বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট নিহতের বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় শাজাহানকে ২৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
জেএ/এসআইটি/এএসএম