দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কৃষকদের ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি মওকুফের প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার পলিসি স্টাডিজ (ক্যাপস)। পাশাপাশি কৃষকদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা ও শস্যবিমা চালুরও প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বন্যাত্তোর কৃষিব্যবস্থাপনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব প্রস্তাব দেয় ক্যাপস। এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মূলপ্রবন্ধে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশকে না জানিয়ে ভারতের ত্রিপুরার গোমতী নদীর ওপর নির্মিত ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। অথচ আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে কমপক্ষে ১০ দিন আগে দুর্যোগের পূর্বাভাস জানানোর কথা। দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবিলা করতে হলে পূর্বের আওয়ামীপন্থি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরিয়ে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানান ক্যাপসের নির্বাহী পরিচালক।
Advertisement
বন্যার ক্ষতি মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য পরামর্শের মধ্যে রয়েছে- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার অব্যবহিত পরে রোপা আমনের বীজতলা, রোপিত আমন এবং দণ্ডয়মান আউশ ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুত পুনর্বাসন কাজ শুরু করা, আগাম শীতকালীন শাক-সবজি, ডাল ফসল, তেল ফসলসহ অঞ্চল উপযোগী ফসল চাষের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা, বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত নিজস্ব উঁচু জমিতে নাবী জাতের আমনের বীজতলা, পলিব্যাগে অথবা বেডে বিভিন্ন সবজি, চারা উৎপাদনের ব্যবস্থা নেওয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের উপকরণ যেমন: মানসম্পন্ন বীজ, সার, বালাইনাশক ইত্যাদি সরবরাহ ও ব্যবহারের দিকনির্দেশনাসহ জরুরি পুনর্বাসন কাজে সম্পৃক্ত করা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া, অসুস্থ গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির জরুরি চিকিৎসাসেবা এবং স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
এনএইচ/এসআইটি/জিকেএস