জাতীয়

খুলনায় গণপিটুনির শিকার কিশোর মারা যায়নি, যা জানালো আইএসপিআর

খুলনায় মহানবীকে (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তিমূলক পোস্ট করায় স্থানীয় জনতা এক কিশোরকে আটক করে। এরপর তার প্রকাশ্য শাস্তি দাবি করে স্থানীয় লোকজন। এসময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা তার ওপর আক্রমণ চালায় এবং গণপিটুনি দেয়।

Advertisement

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টায় ওই কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর জনৈক উৎসব মণ্ডল (২২) মহানবী (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তিমূলক পোস্ট করায় স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে খুলনা ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপস্থিত হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন খুলনায় গণপিটুনিতে তরুণ নিহত

পরে সেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার স্থানীয় জনগণ উপস্থিত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং ওই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে আন্দোলন করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এসময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তির ওপর আক্রমণ চালায়।

আইএসপিআর আরও জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত।

ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তার সুস্থতা সাপেক্ষে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Advertisement

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সর্বদা সচেষ্ট। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ওই ব্যক্তির মৃত্যু সংক্রান্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হতে জনগণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।

টিটি/এমকেআর/জিকেএস