দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক রাজধানীর ধানমন্ডি শাখার দুটি লকারে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান, তার বোন শাহিনা খান ও মা ইকবাল মান্দ বানুর এক কেজি ৬৭০ গ্রাম অলঙ্কারাদি (সোনার চেইন, হাতের বালা, আংটি) তাদের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত হিসাবধারী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এসব অলঙ্কার ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির ওই শাখার জিম্মায় ছিল। আদালত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের জিম্মা বাতিল করে হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা কাস্টমারদের অনুকূলে চালু করতে অনুমতি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে শাহিনা খানের আইনজীবী জাকির হোসেন ভুইয়া বলেন, জোবায়দা রহমান, শাহিনা খান ও ইকবাল মান্দ বানুর নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় দুটি লকার ছিল। সেখানে তাদের সোনার অলঙ্কারাদি ও রুপা রাখা ছিল। ২০০৭ সালে ধানমন্ডি থানার জিডি মূলে লকার দুটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল জায়ীদের কাছে আদালত জিম্মায় দেয়। আমরা লকারগুলোর হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা কাস্টমারদের অনুকূলে চালু করতে আদালতে আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
Advertisement
আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ ধানমন্ডি থানায় জিডি মূলে জোবায়দা রহমান (স্বামী- তারেক রহমান), জোবায়দার বোন শাহিনা খান এবং তাদের মা ইকবাল মান্দ বানুর নামে বরাদ্দকৃত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় থাকা ৩৬/২৩ এবং ৩৬/২৪ নম্বর লকার থেকে এক কেজি ৬৭০ গ্রাম অলঙ্কারাদি জব্দ করা হয়। পরবর্তীকালে ওইদিনই জব্দকৃত অলঙ্কারাদি ব্যাংকটির ওই শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল জায়ীদের কাছে আদালত জিম্মায় দেয়।
পরবর্তীকালে আবেদনকারী শাহিনা খান নিজে, তার মা ইকবাল মান্দ বানু ও বোন জোবায়দার যৌথ নামে বরাদ্দপ্রাপ্ত লকার চালুর আদেশ দিতে আদালতে আবেদন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথা ধানমন্ডি মডেল থানা একাধিকবার প্রতিবেদনও দাখিল করেন।
এর আগে ধানমন্ডি মডেল থানা কর্তৃক দাখিলি প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, জিডি মূলে জব্দকৃত আলামতের বিষয়ে আর কোনো মামলা মোকদ্দমা নেই। ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, জব্দ আলামত অলঙ্কারাদি ব্যাংটির ওই শাখার কাস্টডিতেই জমা আছে।
এ অবস্থায় সার্বিক পর্যালোচনায় যেহেতু জব্দকৃত আলামত বিষয়ে আর কোনো মামলা নেই এবং যেহেতু আবেদনকারী কথিত লকার পরিচালনাকারীদের অনুকূলে তা চালু করার আবেদন করেছেন এবং যেহেতু এতে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপত্তি নেই, ফলে ব্যাংকটি ধানমন্ডি শাখায় জব্দকৃত আলামতের জিম্মা বাতিল করা হলো।
Advertisement
অন্য কোন আদালতের ফ্রিজ আদেশ না থাকা সাপেক্ষে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখার হিসাব নম্বর ১৮-১২০৪-৭৮৫ এর অধীনে যৌথ লকার ৩৬/২৩ এবং ৩৬/২৪ অতিসত্বর ওই লকারগুলোর হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা কাস্টমারদের অনুকূলে চালু করতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
জেএ/এমকেআর/জিকেএস