অর্থনীতি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। একই সঙ্গে কয়েক মাসের মধ্যে দৃশ্যমান জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে- এমনটাই দেখতে পারবেন।’

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বায়িংহাউজের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল সেটা কি দৃশ্যমান হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই দৃশ্যমান হয়েছে। অনেক বিষয়ই দৃশ্যমান। যেমন খেলাপি ঋণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যাংকের সমস্যা ছিল সেসব ব্যাংক রিঅর্গানাইজ করা হচ্ছে। লিকুইডিটির যে সমস্যা ছিল সেটা সমাধান করেছেন গভর্নর।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমরা অলরেডি বলে দিয়েছি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। একই সঙ্গে সংস্কারের বিষয়ে কথাবার্তা বলেছি, এগুলো একেবারে দৃশ্যমান।’

আরও পড়ুনজনগণের অর্থ আর অপচয় হতে দেওয়া হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টাদাম কমাতে আলু-কীটনাশকের শুল্ক হ্রাস, পেঁয়াজে প্রত্যাহার

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আলু, পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি, এগুলো যাতে নিশ্চিত করে সেটার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ, মাংস, ডিমের বিষয়ে কথা বলেছি, বাজার মনিটরিংয়ের কথা বলেছি।’

সরকার নিত্যপণ্যের দাম কমাতে পেরেছে?- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘না, জিনিসপত্রের দাম যে কমছে না। অনেকগুলো কারণে দাম বেড়ে গেছে, সেটা চট করে টেনে নামিয়ে আনা যাবে না। তবে দৃশ্যমান কমেছে কি না সেটা কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পারবেন।’

কতদিনের মধ্যে দাম কমার বিষয় দৃশ্যমান হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি টাস্কফোর্স হচ্ছে তো।’

Advertisement

বায়িং হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা বলেছেন ডিরেক্টর ছাড়া বায়িং হাউজের মাধ্যমে অনেক সময় অর্ডার দেওয়া হয়। রপ্তানির ক্ষেত্রেও সহায়তা করে। এমন কিছু কিছু ব্যাপার রয়েছে। যেমন ইপিবির রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক, অর্ডারের বিষয়ে সমস্যা সমাধান করলে রপ্তানি বাড়বে। আমরা বলেছি রপ্তানি আরও বেড়ে ৫০ বিলিয়ন হবে, তারা বলেছেন ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। আমি বলেছি এটা আমরা দেখবো, যেটা ভালো হয় সেটা করবো।’

এমএএস/কেএসআর/জেআইএম