একটা যুগ শেষ হয়ে গেছে যে, এটা তো সত্যি। মেসি-রোনালদোরা চিরকাল হয়তো ফুটবল বিশ্ব শাসন করবেন না। সেই বাস্তবতাই দেখা যাচ্ছে এবার। প্রায় ২১ বছর পর এই প্রথম ব্যালন ডি’অরের তালিকায় নাম নেই বিশ্বসেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।
Advertisement
৩০ জনের যে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, ২০০৩ সালের পর এই প্রথম সে তালিকায় নাম নেই মেসি-রোনালদোর। রেকর্ড ৮ বার ব্যলন ডি’অর জয় করেছেন লিওনেল মেসি। তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জয় করেছেন ৫টি ব্যালন ডি’অর।
৩০ জনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন। তারাই ইউরোপে খেলা সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কারে ভূষিত করে। আগামী ২৮ অক্টোবর দেয়া হবে ব্যালন ডি অর পুরস্কার। তার আগে প্রকাশ করা হবে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা।
৩০ জনের তালিকায় রয়েছেন তারকা ফুটবলাররা। কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রি, জুদ বেলিংহ্যাম, আরলিং হালান্ড থেকে শুরু করে হ্যারি কেইনরা। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং জুদ বেলিংহ্যাম খেলেন রিয়াল মাদ্রিদে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলে তারা রিয়ালকে জিতিয়েছেন ১৬তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। সে সঙ্গে লা লিগা শিরোপাও।
Advertisement
আরলিং হালান্ড একের পর এক গোল করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতিয়েছেন ম্যানসিটিকে। হ্যারি কেইন গোল করলেও বায়ার্ন মিউনিখকে কোনো শিরোপা জেতাতে পারেননি।
পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ জিতলেও কিলিয়ান এমবাপে এখন আর পিএসজিতে নেই। তিনি নাম লিখেছেন রিয়াল মাদ্রিদে।
লিওনেল মেসি প্রথম ব্যালন ডি’অর জয় করেন ২০০৯ সালে। তবে তিনি এই তালিকায় প্রথম মনোনয়ন পান ২০০৬ সালে। চার বছরের মাথায় ব্যালন ডি’অর হাতে তুলে নেন আর্জেন্টাইন তারকা। ৩৭ বছর বয়সী এ তারকা এখন খেলছেন ইন্টার মিয়ামিতে। ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন রয়েছেন মাঠের বাইরে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো প্রথম মনোনয়ন পেয়েছিলেন ২০০৪ সালে। তবে প্রথম ব্যালন ডি’অর জয় করেন ২০০৮ সালে। নিজেদের সেরা সময়ে মেসি-রোনালদো মোট ১৩বার ব্যালন ডি’অর জয় করেন।
Advertisement
আইএইচএস/