শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ। বয়স সবেমাত্র ১৭ বছর। রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল আহনাফ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই সহপাঠীদের সঙ্গে রাজপথে সরব ছিল সে। একদিন টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে কিছুটা আহতও হয়েছিল।
Advertisement
তবুও ভয় পায়নি আহনাফ। আবারও ছুটে যায় রাজপথে। গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেয় সে। সেদিন পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বিএএফ শাহীন কলেজের মেধাবী এ শিক্ষার্থী। তার বুকের ডান দিক দিয়ে বুলেট ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। আহনাফসহ হাজারও ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় নতুন বাংলাদেশ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অকুতোভয় আহনাফের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মিরপুরের পাইকপাড়ায় আহনাফের বাসায় গিয়ে যে কোনো প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আহনাফসহ হাজারও ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল, তাদের আত্মত্যাগে আমরা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। শিগগির সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি স্মরণসভা করা হবে। সেখানে আপনাদের উপস্থিতি কাম্য।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের দেশ মনে রাখবে। নাম না জানা অনেক ছাত্র-জনতা এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে। শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। স্বাধীনভাবে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছি।
এসময় উপদেষ্টা নাহিদ আহনাফের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খোঁজ-খবর নেন। এখন থেকে যে কোনো সময়, যে কোনো প্রয়োজনে শহীদ আহনাফের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বাসায় আহনাফের মা, বাবা, দুই ভাই ও খালা উপস্থিত ছিলেন।
এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement