দেশজুড়ে

৫ আগস্ট আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন মামলায় আসামি মৃত ছাত্রলীগ নেতা!

জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম (৩৫)। দুই বছর আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। পৌর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন সফিকুল। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও মারধরের ঘটনায় করা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

মামলায় জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১৬০ জনকে। ওই মামলার ৭৮ নম্বর আসামি সফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জামালপুর সদর থানায় পৌরশহরের ফুলবাড়িয়া দড়িপাড়ার বাসিন্দা হায়দার আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সফিকুল ইসলাম শহরের পালপাড়ার মৃত নুরুল মেম্বারের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর বিকেলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফিরছিলেন হায়দার আলী। এসময় শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে এজাহারনামীয় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, বাঁশের লাঠি নিয়ে তিনিসহ তরিকুল নামের তার এক সহযোগীর ওপর আক্রমণ করেন। এসময় ফাঁকা গুলিও করা হয়। একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকী তার সহযোগী তরিকুলের পকেটে থাকা নগদ ৩৮ হাজার টাকা এবং গলায় থাকা একটি সোনার চেইন ছিনতাই করে খুন করার হুমকি দেন আসামিরা।

Advertisement

সফিকুলের ছোট ভাই রফিকুল জানান, তার বড় ভাই ২০ বছর আগে পৌর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। তারপর দীর্ঘদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। দুই বছর আগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এখন সফিকুলের একমাত্র মেয়েসন্তান নিয়ে তার স্ত্রী সংসার করছেন।

মৃত ব্যক্তির নামে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী হায়দার আলী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল মামলা হয়েছে। মামলায় মৃত মানুষের নাম আছে কিনা জানা নেই। মৃত মানুষের নামে মামলা দেওয়া হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাসিম উদ্দিন/এসআর/জেআইএম

Advertisement