দেশজুড়ে

গাজীপুরে আজও বিক্ষোভে শ্রমিকরা

গাজীপুরে বিভিন্ন দাবিতে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তি পড়েন যাত্রীরা।

Advertisement

এরমধ্যে সকাল ৬টায় শ্রীপুরের ধনুয়া এলাকায় আরএকে সিরামিক থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। সকাল ৭টায় তারা কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপর দাবি পূরণে আশ্বস্ত হলে বেলা ১১টায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা কারখানা থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক কর্মচারী নিয়োগ, প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট নিশ্চিতসহ ১১ দফা দাবি জানান।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, কোনো বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা তাদের মূল্যায়ন করেন না। ভালো কোনো প্রতিক্রিয়াও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। তারা দায়িত্বে আসার পর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী শ্রমিক ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় না।

Advertisement

অপরদিকে কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় ট্রান্সকম বেভারেজে ২০ দফা দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন করে আসছেন শ্রমিকরা। বুধবার সকালেও তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগকৃত শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, মাসের ৫ তারিখে মধ্যে বেতন প্রদান, নারী শ্রমিকদের নৈশকালীন ডিউটি বাতিলসহ ২০ দফা দাবি জানান।

এছাড়া গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেডের সামনে চাকরি প্রত্যাশী শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

নিয়োগে নারী-পুরুষের বৈষম্য রোধে গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। তারা জানান, চাকরিতে পুরুষের চাইতে নারী শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয়। আমরা এ ধরনের বৈষম্য চাই না।

অপরদিকে, গাজীপুরের রাজন্দ্রেপুর এলাকায় ইউনি হেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস নামের একটি ওষুধ উৎপানদকারী প্রতিষ্ঠানেও আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। এসময় তারা বেতন বৈষম্য দূর করাসহ কয়েকটি দাবি জানান।

Advertisement

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর শ্রীপুর ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আজিজুল হক জানান, বুধবার সকাল থেকেই কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকরা। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান শ্রমিকরা। পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মো. আমিনুল ইসলাম/জেডএইচ/এএসএম