বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) জব্বারের মোড়ে অবস্থিত আউয়াল স্টোরে এক দিনেই প্রায় ৮০ হাজার টাকা বাকি করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই দোকানে মোট ১ লাখ ৭ হাজার টাকা বাকি করেছেন তিনি।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আউয়াল স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল আউয়াল এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বাকৃবির ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ।
অভিযোগকারী আব্দুল আউয়াল বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের আগের ঘটনা এটি। গত পহেলা রমজানের দিন প্রায় ৮০ হাজার টাকার বাকি খেয়েছেন তায়েফ রিয়াদ এবং তার অনুসারীরা। এসময় তারা প্রায় ৬০ হাজার টাকার সিগারেট, তিনটি ফ্রিজের কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং চা পান করেন। এরপর আমি সভাপতির কাছে টাকা চাইলেও টাকা দেননি তিনি। পরে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সভাপতির আর দেখা পাওয়া যায়নি।
আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, পহেলা রমজানের আগের দিন আমি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা লোন নিয়ে দোকানে জিনিসপত্র কিনি। এরপর পহেলা রমজান রিয়াদ ও তার অনুসারীরা আমার দোকানে বাকি করে। তায়েফ রিয়াদের কাছে আমি মোট ১ লাখ ৭ হাজার টাকা পাই। আমি এখন বিরাট ঝামেলায় পড়ে গেলাম। আশা করি, সভাপতি আমার টাকাগুলো ফেরত দেবে।
Advertisement
তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে বাকৃবির ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ জানান, পহেলা রমজানের সন্ধ্যায় আউয়াল ভাইয়ের দোকানে গিয়েছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেদিন আউয়াল ভাইয়ের দোকানে ৩০ হাজার টাকা বাকি হয়। আমি বাকির টাকা পরিশোধ করে দেবো। তবে আউয়াল ভাই আমার ওপর ১ লাখ ৭ হাজার টাকা বাকির যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সঠিক নয়। আমার নামে অন্য কেউ বাকি খেলে সেই দায়ভার আমি কখনোই নেবো না।
আসিফ ইকবাল/এফএ/এমএস